ফরওয়ার্ড ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল তৃণমূলের ৪ সদস্য। গোঘাট ১ ব্লকের শ্যাওড়া পঞ্চায়েত ঘটনা। গত পঞ্চায়েত ভোটে আরামবাগ মহকুমার ৬৩ পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র শ্যাওড়া পঞ্চায়েত দখল করেছিল বামফ্রন্ট। এই পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৩। নির্বাচনে তৃণমূল জেতে ৬টিতে। নির্দল হয়ে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধ তৃণমূল পায় ৩টি আসন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পায় ৪টি আসন। প্রথমে তৃণমূলের প্রার্থী পদ এবং পরে প্রধান পদ নিয়েও দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ নিয়ে কয়েকবার জেলা নেতৃত্বেরও শরণাপন্ন হয় দুই গোষ্ঠী। কিন্তু মীমাংসা হয়নি। ভোটদান পর্বে হাজিরই হননি ৫ বিক্ষুব্ধ। এরপর তৃণমূল লটারিতেও হেরে যাওয়ায় প্রধান ও উপপ্রধান পদটি ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে যায়। সেই বিক্ষুব্ধ পাঁচজনের চারজন পরে তৃণমূলে ফিরে গিয়ে ফব প্রধান রীনা কারকের বিরুদ্ধ অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। পঞ্চায়েতের মোট ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন সোমবার সকালে গোঘাট ১ বিডিও অসিতবরণ ঘোষের কাছে তাঁদের সই করা অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত চিঠি জমা দেন। আইন মতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বিডিও জানিয়েছেন। অনাস্থা আনা সদস্যদের পক্ষে তৃণমূলের তাপস খাঁ অভিযোগ করেন, ‘‘পঞ্চায়েত পরিচালনায় প্রধান অযোগ্য। উন্নয়ন হচ্ছে না। প্রধানের পরিবর্তে তাঁর স্বামী নরেন কারক খবরদারি করেন। অন্য সদস্যদের কোনও বিষয়েই কিছু না জানিয়ে নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিছু দুর্নীতিও হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান রীনা কারক বলেন, ‘‘অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। আসলে বিরোধী দল হওয়ায় আমার কাজে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy