Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রোগীকে ফেরানোয় কৈফিয়ত তলব

দুর্ঘটনায় জখম বছর পাঁচেকের রিয়া সরকারকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দিয়েছিল উত্তরপাড়ার চার-চারটি নার্সিংহোম। ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার পুলিশ ওই সব নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মৃত: রিয়া সরকার। নিজস্ব চিত্র

মৃত: রিয়া সরকার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৬
Share: Save:

দুর্ঘটনায় জখম বছর পাঁচেকের রিয়া সরকারকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দিয়েছিল উত্তরপাড়ার চার-চারটি নার্সিংহোম। ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার পুলিশ ওই সব নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মঙ্গলবার চারটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে উত্তরপাড়া থানায় ডেকে পাঠানো হয়। দুপুরে তাদের কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) অতুল ভি এবং এসডিপিও (শ্রীরামপুর) কামনাশিস সেন। সূত্রের খবর, কেন শিশুটিকে ভর্তি নেওয়া হয়নি, সে ব্যাপারে তাঁদের ব্যাখ্যা চান পুলিশকর্তারা। যে দিন শিশুটিকে আনা হয়েছিল সেই ৪ মার্চ-এর সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়। নার্সিংহোম-কর্তারা দাবি করেন, শিশুটি মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছিল। যথাযথ পরিকাঠামো না থাকাতেই তাকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ঠিক কী ঘটেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নার্সিংহোমগুলি থেকে সিসিটিভির ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।’’ এ দিনই হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী নার্সিংহোমগুলিতে যান। কোন পরিস্থিতিতে শিশুটিকে আনা হয়েছিল, কেনই বা আপৎকালীন চিকিৎসা না করেই তাকে ফেরত পাঠানো হল, সে ব্যাপারে বিশদে খোঁজ নেন তিনি। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তে নার্সিংহোমগুলির ভূমিকায় গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে।

এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘নীতিগত ভাবে জখম কোনও রোগীকেই বিনা চিকিৎসায় ফেরানো যায় না। গোটা বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখছি। স্বাস্থ্য ভবনে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Riya Sarkar Nursing home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE