মুেখভাত: শ্রুতির মুখে পায়েস তুলে দিচ্ছেন সায়ন্তন। —নিজস্ব চিত্র।
গরিব পরিবারের মেয়েটির বয়স সাত মাস। অভাবের কারণে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান করতে পারেনি পরিবার। দুধ ছাড়া সে কিছুই খায় না। সব শুনে শুক্রবার পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রেই মগরার শ্রুতি রায় নামে ওই শিশুটির অন্নপ্রাশনের আয়োজন করলেন সেখানকার আধিকারিকেরা। শিশুটির মা শ্রাবন্তীর চোখ চিকচিক করে ওঠে। অন্য শিশুর মায়েদের মুখেও হাসি।
হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওঁরা খুব ভাল কাজ করেছেন। মায়েদের বাড়তি আনন্দ দেওয়া গিয়েছে। ওখানে বাড়ির পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়।’’ ওই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (পুষ্টি) পূর্ণা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, দিনকয়েক আগে শ্রুতিকে এখানে আনা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ওই দিনই খাদ্যাভাসের কথা জিজ্ঞাসা করার সময়, শিশুটির মা অভাবের কারণে অন্নপ্রাশন না হওয়ার কথা জানান। তখনই মুখেভাতের সিদ্ধান্ত নিই।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ওজন উচ্চতার নিরিখে কম থাকলে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়। পনেরো দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত শিশুদের মায়েদের সঙ্গেই ভর্তি রাখা হয়। ওজন বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসাও করা হয়। এ দিন ওই কেন্দ্রের কর্মীরা শিশুটিকে নতুন পোশাকে সাজান। এখানকার ‘মেডিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কার’ সায়ন্তন শী ‘মামা’ হিসেবে শিশুটির মুখে পায়েস দেন। মা-সন্তানের বাঁধানো ছবি তুলে দেওয়া হয় উপহার হিসেবে। শ্রাবন্তী বলেন, ‘‘এমনটা আমার ভাবনায় ছিল না।’’ বিএমওএইচ (পান্ডুয়া) শ্রীকান্ত চক্রবর্তী জানান, এ দিনই ওই কেন্দ্রের বর্ষপূর্তি পালন হয়। ভবনটি বেলুনে সাজানো হয়েছিল। শিশুদের মায়েদের হাতে সন্তান-সহ তাঁদের ছবি উপহার দেওয়ার হয়। কেক কাটা হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy