গত বছরেই পিকনিক করতে এসে ফুলেশ্বরে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল কলকাতার এক পর্যটকের। তারও কয়েক বছর আগে কোলাঘাটে রূপনারায়ণ নদীতে পিকনিক করতে এসে নৌকাবিহার করার সময় নৌকা উল্টে মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে হইচই হওয়ায় শীতে পিকনিকের মরসুমে নদীতে পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ নিয়ে পরে তৎপরও হয়েছিল হাওড়া জেলা পুলিশ।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নজরদারিতে যে শিথিলতা এসেছে, এ বছর বড়দিনে ফুলেশ্বর, গড়চুমুক, গাদিয়াড়ায় তা চোখে পড়েছে। গুটিকয়েক সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া কোনও পুলিশকে নদীর ঘাটগুলিতে নজরে পড়েনি। যদিও জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, নদীর ধারে সমস্ত পিকনিক স্পটেই পুলিশর নজরদারি রয়েছে।
ফুলেশ্বর, গড়চুমুক, গাদিয়াড়া—হুগলি নদী ও দামোদরের ধারে জেলার এই সব পিকনিক স্পট প্রতি বছর পর্যটকদের ভিড়ে উপচে পড়ে। এ বছর নোট কাণ্ডের জেরে তা কিছু কম হলেও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। কিছু জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার থাকলেও তাঁরা নিজেদের মতো ঘুরতেই ব্যস্ত ছিলেন। যার ফলে গড়চুমুকে দামোদরে বা কোলাঘাটে রূপনারায়ণে এবং ফুলেশ্বরে হুগলি নদীতে অবাধে চলেছে পর্যটকদের নৌকাবিহার। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুনীত কুমার বলেন, ‘‘নজরদারি ছিল। তবে অভিযোগ যখন উঠেছে বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
ফুলেশ্বর ডাকবাংলোর কাছে এক দোকানদারের কথায়, ‘‘এ বার ঘাটে পুলিশের কোনও নজরদারি নেই। ফলে যে যেমন পারছে নৌকা ভাড়া করে গঙ্গায় ভেসে পড়ছে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও স্রেফ দু’তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়েই দায় সেরেছে পুলিশ।