দু’দিন পরও শ্রীরামপুরের বিবিরবেড়ে অতনু ঘোষ ওরফে মন্টুকে খুনের ঘটনায় কাউকে ধরতে পারল না পুলিশ। মাস দু’য়েক আগে এই এলাকাতেই বাড়িতে ঢুকে অজয় রায়ভৌমিক ওরফে দেবু নামে এক যুবককে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সেই খুনের বদলা নিতেই শনিবার রাতে খুন করা হয় অতনুকে। এর পিছনে হুগলি শিল্পাঞ্চলের ত্রাস রমেশ মাহাতোর শাগরেদদের হাত রয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল বিবিরবেড়ে বাড়িতে ঢুকে নাবালিকা মেয়ে, স্ত্রী এবং মায়ের সামনেই দুষ্কৃতীরা দেবুকে গুলি করে।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দেবু জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই সূত্রে শ্রীরামপুরের দুষ্কৃতী সন্দীপ নন্দীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। সন্দীপ রমেশের সাগরেদ। এলাকার দখল নিয়ে সন্দীপের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুষ্কৃতী সুমন দলবল নিয়ে এসে দেবুর উপর হামলা করে। দেবুকে খুনের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়। তারা দোষ স্বীকার করে। তবে সুমন এখনও ধরা পড়েনি।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, ওই ঘটনার বদলা নিতে এবং সুমনকে সমঝে দিতে বিরুদ্ধ গোষ্ঠী চেষ্টা চালাচ্ছিলই। তারই জেরে এই খুন। তদন্তকারীদের দাবি, মন্টুর বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় কোনও অভিযোগ না থাকলেও সুমনের দলের ছেলেদের সঙ্গে তাঁর মেলামেশা ছিল। দেবুর সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। গত দুর্গাপুজোয় ভাসানের দিন দু’জনের ঝামেলা হয়। সব মিলিয়ে মন্টুর উপরে সুমনের বিরোধী গোষ্ঠীর আক্রোশ তৈরি হয়।
শনিবার রাত দশটা নাগাদ স্থানীয় ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল মন্টু। সেই সময় তিন দুষ্কৃতী তাকে ডাকে। মন্টু এগিয়ে যেতেই তার মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা মোটরবাইক চালিয়ে দিল্লি রোডের দিকে পিঠটান দেন। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা অতনুকে মৃত বলে জানান। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘আগের ঘটনার বদলা নিতেই এই খুন বলেই অনুমান। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy