উদয়নারায়ণপুর: আমতা-ডিহিভুরসুট রাস্তা দিয়ে তারকেশ্বর, আমরামবাগ হয়ে বর্ধমান পর্যন্ত যাওয়া যায়। তাই রাস্তাটি নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত বর্ষায় উদয়নারায়ণপুরের কুর্চি সেতুর দু’টি স্তম্ভের নীচে মাটি সরে যায়। সেতুটি বসে যাওয়ায় মাস খানেক আগে থেকে এর উপর দিয়ে ভারি গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এখন বাস, ট্রাক বা লরি সেতুর দুই দিকে এসে দাঁড়িয়ে যায়। যাত্রীরা হেঁটে সেতু পার হয়ে ফের অন্য দিকে গিয়ে বাস ধরেন। লরি বা ট্রাক থেকে মালপত্র নামিয়ে ফেলা হয় সেতুর দুই দিকে। তারপরে ভ্যানোয় করে সেই সব জিনিসত্র সেতু পার করিয়ে অন্য দিকে দাঁড়িয়ে থাকা লরি বা ট্রাকে তোলা হয়। এতে পরিবহণ খরচ বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কানা দামোদরটি বর্ষার আগে সেচ দফতর সংস্কার করে। বর্ষায় খালের ভিতর দিয়ে প্রবল স্রোতে জল বইতে থাকে। তারই টানে কুর্চিতে সেতুর স্তম্ভের নীচে মাটি সরে যায়। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশেষ করে স্থানীয় আলু ব্যবসায়ীরা বেশ সমস্যায় পড়েছেন। আমরা পূর্ত দফতরকে বলেছি দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নিতে।’’
পূর্ত দফতর (সড়ক)-এর কর্তারা জানিয়েছেন, এই সেতু আর মেরামত করা যাবে না। নতুন করেই তৈরি করতে হবে। যেহেতু নতুন সেতু করতে সময় লাগবে, তাই সাময়িকভাবে এই সেতুর পাশেই খালের উপরে মাটি দিয়ে ভরাট করে একটি বিকল্প পথ করে দেওয়া হবে। খালের জল যাওয়ার জন্য পাইপ বসিয়ে দেওয়া হবে বলে পূর্ত (সড়ক) দফতরের কর্তারা জানান।