Advertisement
E-Paper

বড়দিনেও চালু গোন্দলপাড়া মিল

দু’টি বন্‌ধকেই  সমর্থন করেছিলেন গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিকেরা। কিন্তু কর্মবিরতি তাঁরা করেননি। উৎপাদন চালু ছিল মিলের।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৩
জুটমিলে চলছে কাজ। ছবি: তাপস ঘোষ।

জুটমিলে চলছে কাজ। ছবি: তাপস ঘোষ।

প্রায় দীর্ঘ আড়াই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল গোন্দলপাড়া জুটমিল। সঙ্কট চলছে মিলে প্রায় হাজার পাঁচেক শ্রমিকের পরিবারে। তাই, বড়দিনেও কাজ থামালেন না তাঁরা। উৎসবের আবহেও খুলল মিলের তালা। কাজ করলেন শ্রমিকেরা। চালু রইল মিল। শ্রমিকদের এই মনোভাবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

কয়েক মাস আগে খুলেছে মিল। দীর্ঘ সময় কাজ না-থাকার সঙ্কটে পড়া শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটেছে। মিল বন্ধ থাকলে তাঁরা যে বাঁচবেন না, তা বুঝেছেন ওই শ্রমিকেরা। তাঁদের মধ্যে তিনি রাজেশ জয়সোয়ার বলেন,‘‘আড়াই বছর বন্ধ থাকার সময়ে মিলের আর্থিক স্থিতি দুর্বল হয়ে পড়ে। আমরা পরিস্থিতি থেকে বুঝেছি, মিল ভালভাবে চললেই শ্রমিকেরা বাঁচবে। আর বাঁচবে তাঁদের পরিবারও। তাই আমরা ছুটি নিয়ে আর মিলকে দুর্বল করতে চাইছি না। আমরা সব করব, কিন্তু সপ্তাহে সাতদিন মিলের উৎপাদন চালু রেখেই।’’

দিল্লিতে আন্দোলনরত চাষিদের সমর্থনে এবং বিভিন্ন দাবিতে দেশ জুড়ে পরপর দু’টি বন্‌ধ হয়। দু’টি বন্‌ধকেই সমর্থন করেছিলেন গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিকেরা। কিন্তু কর্মবিরতি তাঁরা করেননি। উৎপাদন চালু ছিল মিলের। মিল চালু হওয়া থেকেই সেখানে প্রতিটি শিফ্‌টে কাজ চলছে। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফিরতে কিছুটা সময় লাগছে। কারণ, বহু যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়েছিল।

মিলের পদস্থ কর্তা শুম্ভু পাল বলেন, ‘‘এর আগে দু’টি বন্‌ধেই শ্রমিকেরা মিলের উৎপাদন চালু রেখেছিলেন। বড়দিনের ছুটি না নেওয়াও নিশ্চিত ভাবে প্রশংসার যোগ্য। মিলের শ্রমিকেরা এই ভাবে উৎপাদন চালু রাখলেই মিল ফের মজবুত হবে। উৎপাদন চালু রেখেই সবকিছু করতে হবে। শ্রমিকেরা বিষয়টি বুঝছেন। এটা ইতিবাচক দিক।’’

Gondalpara Jute Mill Christmas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy