Advertisement
১৮ মে ২০২৪

‘শ্লীলতাহানি’, ক্লাস ছাড়লেন ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার প্র্যাক্টিক্যাল খাতায় সই করানোর জন্য কলেজের শিক্ষক সুব্রত নাগের নির্দেশে ফাঁকা ক্লাসে অপেক্ষা করছিলেন চতুর্থ বর্ষের ওই ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সুব্রতবাবু এসে খাতায় সই করার নাম করে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন।

ধর্না: অবস্থানে পড়ুয়ারা। হাওড়া হোমিওপ্যাথি কলেজে। নিজস্ব চিত্র

ধর্না: অবস্থানে পড়ুয়ারা। হাওড়া হোমিওপ্যাথি কলেজে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ১৩:১৫
Share: Save:

নিয়ম মতো ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বিকেল পাঁচটায়। কিন্তু অভিযোগ, প্র্যাক্টিক্যাল খাতায় সই করে দেবেন বলে চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে ফাঁকা ক্লাসে প্রায় দু’ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পরে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এক শিক্ষক-চিকিৎসক।

ওই ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তাল হল হাওড়ার মহেন্দ্র ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে দিনভর চলল ক্লাস বয়কট, দফায় দফায় বিক্ষোভ। শেষে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখান কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ওই শিক্ষক-চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে।

ঘটনাটি ঠিক কী? পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার প্র্যাক্টিক্যাল খাতায় সই করানোর জন্য কলেজের শিক্ষক সুব্রত নাগের নির্দেশে ফাঁকা ক্লাসে অপেক্ষা করছিলেন চতুর্থ বর্ষের ওই ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সুব্রতবাবু এসে খাতায় সই করার নাম করে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। আতঙ্কিত ওই ছাত্রী রাতে হস্টেলে না ফিরে চলে যান ডায়মন্ড হারবারে তাঁর বাড়িতে।

পুলিশ জানায়, এ দিন তরুণীর মা-বাবা হাওড়ায় এসে ওই হোমিওপ্যাথি কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অধ্যক্ষ অভিযোগটি তাঁর ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে জানানোর পাশাপাশি স্থানীয় চ্যাটার্জিহাট থানাতেও জানান। অভিযোগটি যেহেতু শ্লীলতাহানি সংক্রান্ত, তাই চ্যাটার্জিহাট থানা সেটি পাঠিয়ে দেয় মহিলা থানায়। সেখানেই ওই তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে পুলিশ।

কলেজের অধ্যক্ষ মাধবানন্দ সাহা বলেন, ‘‘অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আমি গোটা বিষয়টি পুলিশ এবং ডিরেক্টর অব হোমিওপ্যাথি-কে জানিয়েছি। ওই শিক্ষককে চিঠি পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে।’’ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অরিজিৎ মান্না বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও এমন বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমাদের বিক্ষোভ চলবে।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ছাত্রীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক-চিকিৎসক ঘটনার পর থেকেই
কলেজে আসছেন না। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Harassment Professor Student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE