বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেল সংযোগের ক্ষেত্রে হুগলির গোঘাটের ভাবাদিঘি-জট এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই রবিবার সেখানে ঘুরে গেলেন পূর্ব রেলের পদস্থ কর্তারা। কিন্তু তাঁরা এলাকার কারও সঙ্গে কথা না-বলায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। রেল অবশ্য জানিয়েছে, এ দিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনার কর্মসূচি ছিল না। তারা কথা বলতে অনাগ্রহী নয়। তবে, সেটি গঠনমূলক হওয়া চাই।
গত ১৬ মার্চ রেলপথ তৈরির জন্য ওই দিঘিতে রেলের পক্ষ থেকে মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে তেতে উঠেছিল এলাকা। রেল ওই দিঘির উত্তর দিকের একাংশ বুজিয়ে রেললাইন পাততে চায়। কিন্তু গ্রামবাসীরা চান, রেলপথ হোক ভাবাদিঘির উত্তর পাড়ের জমি দিয়ে। এই টানাপড়েনেই তার পর থেকে ভাবাদিঘিতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ গোঘাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রেলের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ভাবাদিঘি পৌঁছয়। ওই দলে ছিলেন পূর্ব রেলের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (কনস্ট্রাকশন) সুধীর অগ্রবাল, রেলের পদস্থ অফিসার সুনীল যাদব। তাঁরা প্রথমে ওই দিঘির উত্তর পাড় এবং তার পরে পূর্ব প্রান্তে যান। রেলের কাজ যেখানে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে, সেই বাঁধে উঠে পড়ে থাকা লাইনের পাতও পরীক্ষা করে দেখেন। ঘণ্টাখানেক তাঁরা পুরো এলাকা ঘুরে উত্তর পাড়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান খুঁটিয়ে দেখেন।
কিন্তু কেন কথা বললেন না তাঁরা?
রেলের এক কর্তা বলেন, ‘‘এর আগে তো আমরা ওখানে কথা বলতেই গিয়েছিলাম। কিন্তু এমন পরিস্থিতি ওঁরা তৈরি করলেন, কথা না-বলেই ফিরে এলাম। কথা না বলার কিছু নেই। তবে সেটা গঠনমূলক হওয়া চাই। কোনও অপ্রিয় পরিস্থিতি আমরা চাই না।
রেলের কাজ কী অবস্থায় আছেস কী করা সম্ভব— সবটাই দেখা হল।’’ ভাবাদিঘি ঘুরে রেলের ওই দলটি মোরাম রাস্তা ধরে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যান। সেখানে তাঁরা মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাঁরা জয়রামবাটি ও বিষ্ণুপুর যান।