সরকারি প্রতিশ্রুতি মতো আপাতত চন্দননগরের রানিঘাট এলাকা থেকে অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকেরা। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া না মিললে ফের অনশনের হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা।
হুগলি, হাওড়া-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে বহু কলকারখানা বন্ধ থাকায় একশ্রেণির মাঝবয়সী মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক পিএফ, গ্র্যাচুইটি-সহ ন্যায্য বকেয়া পাচ্ছেন না দিনের পর দিন। এরই প্রতিবাদে নেমেছে চন্দননগরের ‘শ্রমিক কল্যাণ সমিতি’। শুক্রবার রানিঘাটে সমিতির ১১ জন সদস্য অনশনে বসেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন যেমন ছিলেন বন্ধ হিন্দমোটর, ডানলপ কারখানা এবং বিভিন্ন চটকলের শ্রমিক, তেমনই ছিলেন দুই সমাজকর্মী। তাঁদের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আছে। সরকারি প্রতিশ্রুতিও মিলেছে। তবু অবসরপ্রাপ্ত এবং বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের প্রাপ্য রেশন ও বকেয়া টাকা মিলছে না। শুক্রবার অনশনকারীদের মঞ্চে আসেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। সেখান থেকেই রেশন দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি। কেন আবেদনের পরও শ্রমিকদের রেশন পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে, তার কারণ জানতে চান মেয়র। এরপরই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সরকারি তরফে শ্রমিকদের বকেয়া দাবির বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এর পরেই অনশন প্রত্যাহার করা হয়।
সমাজকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শ্রমিকদের অবিলম্বে রেশন কার্ড দিতে হবে যে সব মালিক শ্রম আইন ভাঙছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত মৃত শ্রমিকদের স্ত্রীকে ৩ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে।’’ ওই শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে গৌতম গুহরায় এবং নন্দকিশোর সাউ বলেন, ‘‘সরকারি স্তরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে আমাদের দাবি পূরণের। ১৫ দিন অপেক্ষা করব। তার মধ্যে কাজ না হলে ফের আন্দোলন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy