অবরোধ: পথ আটকে প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র
ট্রাকের ধাক্কায় এক মাছ বিক্রেতার মৃত্যু ঘিরে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল দিল্লি রোডের বৈদ্যবাটী-চৌমাথার কাছে জেলেপাড়া মোড়ে। যথাযথ ভাবে যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহ আটকে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে প্রথমে বাধা পায়। পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসাও হয়। শেষে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রঞ্জন বাগ (৩৮)। তাঁর বাড়ি জেলেপাড়াতেই। তিনি সাইকেলে ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করতেন। এ দিন বিক্রি শেষে বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে ১০টা নাগাদ তিনি ওই দুর্ঘটনায় পড়েন। ট্রাকটির পিছনের চাকা মাথার উপর চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই রঞ্জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন ট্রাকটি ধাওয়া করেন। কিন্তু চালককে ধরতে পারেননি। চালক ডানকুনির দিকে কিছুটা গিয়ে ট্রাকটি রাস্তার পাশে রেখে চম্পট দেয়।
বেলা সাড়ে ১০টা থেকে রঞ্জনের মৃতদেহ আটকে শুরু হয় অবরোধ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে অবরোধকারীরা ওই এলাকায় যথাযথ ভাবে যান নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, দিনেরবেলায় সিভিক ভলান্টিয়াররা বৈদ্যবাটী-চৌমাথায় যান নিয়ন্ত্রণ করলেও তা যথাযথ ভাবে হয় না। সন্ধ্যার পরে তাঁরা ট্রাক থেকে তোলা আদায়েই ব্যস্ত থাকেন। ফলে, দিল্লি রোডে যানজট হয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান অবরোধকারীরা। বেলা ১২টা নাগাদ পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ অবরোধকারীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে স্বপন হালদার বলেন, ‘‘বৈদ্যবাটী-চৌমাথা জেলেপাড়ার কাছে দিল্লি রোডের এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সন্ধ্যা হলেই তাঁরাই ট্রাক দাঁড় করিয়ে টাকা আদায় করে। তখন যান নিয়ন্ত্রণ গুরুত্ব পায় না। এটা অবিলম্বে বন্ধ না-হলে বারবার দুর্ঘটনা,
প্রাণহানি হবে।’’
তোলা আদায়ের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়াররা মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, নিয়ম মেনেই যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা অবশ্য জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ওই অঞ্চলে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কড়া নজরদারি চালানো হবে। ওই ট্রাক-চালকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধ সাইকেল আরোহীর। হরিপালের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডের এই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম রামচন্দ্র সাঁতরা (৬১)। তিনি সিঙ্গুরের জয়মোল্লার বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর বাজার থেকে চাষের জন্য কীটনাশক কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রামচন্দ্রবাবু। পিছন থেকে ট্রাক্টরটি তাঁকে ধাক্কা মারলে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানা। ট্রাক্টর-সহ
চালক পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy