কুড়ি দিনে দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দু’বছরেও সেই রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। এমনই অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের হরিণখোলা-১ পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের হরিণখোলা-১ পঞ্চায়েত এলাকার বিরাটি গ্রামের শ্নশান ঘাট থেকে হরাদিত্য গ্রামের উত্তরপাড়ার জয়ন্ত সাঁতরার বাড়ি পর্যন্ত ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু সেই কাজ আপাতত থমকে রয়েছে। তার জেরে পড়ে থাকা বোল্ডার-মোরামের পাশ দিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে স্থানীয়দের।
ওই ঠিকাদারকে বাতিল করে রাস্তাটি সম্পূর্ণ শেষ করার দাবিতে স্থানীয় মানুষ পঞ্চায়েতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন প্রায়ই। এমনকী গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত প্রধান গীতা ঘোড়ুই বলেন, ‘‘যে ঠিকাদার এই কাজের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁর খোঁজ মিলছে না। ওই ঠিকাদারকে নতুন কাজ দেওয়াও বন্ধ হয়েছে। রাস্তাটির কাজ কীভাবে শেষ করা যায় তা নিয়ে পঞ্চায়েতে আলোচনা করা হবে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তারক মাজি নামে এক স্থানীয় এক ঠিকাদার দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি বোল্ডার-মোরাম করার বরাত পান। রাস্তাটির জন্য বরাদ্দ হয় ৯ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। দেড় কিলোমিটার রাস্তাটির মধ্যে বিরাটির শ্মশান ঘাট থেকে হরাদিত্য বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়। বাকি হাফ কিলোমিটারের কাজই হয়নি।
সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘ঠিকাদার বেপাত্তা। ১০০ কাজ প্রকল্পের নির্দিষ্ট কাজে ঠিকাদার পরিবর্তন করার ব্যবস্থা নেই। একমাত্র উপায় অন্য কোনও প্রকল্পে রাস্তাটির কাজ সম্পূর্ণ করা। সেই প্রস্তাব পঞ্চায়েত প্রধানকে দিয়েওছি। তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি”।
রাস্তা শেষ না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অবশ্য তৃণমূলের অন্দরেও ক্ষোভ বেঁধেছে। দলের অঞ্চল সভাপতি বিনয় পালের অভিযোগ-“বিষয়টি তো প্রধান দেখেন। তিনি সচেষ্ট হলেই রাস্তার কাজ শেষ সম্ভব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy