নৈশরক্ষী বাহিনীকে (আর জি পার্টি) চাঙ্গা করতে বিমা চালু করল শ্রীরামপুর থানা। আপাতত ১৬টি আর জি পার্টির একজন করে সদস্যকে এর আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমানে শ্রীরামপুর থানা এলাকায় প্রায় কুড়িটি আর জি পার্টি আছে। গত দেড় দশকে বেশ কয়েকটি আর জি পার্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে শেওড়াফুলি-বৈদ্যবাটিতে গত কয়েক বছরে নতুন করে কয়েকটি এই বাহিনী গড়ে উঠেছে। বাহিনীগুলিকে শক্তিশালী করতে পুলিশের তরফে লাঠি, বাঁশি, ব্যাজ প্রভৃতি সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষার কী হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তাই শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত দাস বিমার বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, জানায়, বিভিন্ন আর জি পার্টি থেকে ১৬ জনকে নিয়ে ১ লক্ষ টাকা করে দুর্ঘটনা বিমা করা হয়েছে। এতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা এবং আহত হলে আংশিক সুবিধা মিলবে। এক বছর পরে পলিসি চালাতে গেলে চুক্তি পুনর্নর্বিকরণ করতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকেই প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি বৈদ্যবাটিতে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিমার আওতায় থাকা সদস্যদের হাতে পলিসির নথিপত্রের প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়।
শ্রীরামপুর থানা প্রতিরোধ বাহিনীর সম্পাদক তরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রত্যেককে বিমার আওতায় আনা গেলে খুব ভাল হবে।’’ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শেওড়াফুলি চারাবাগন নবতরুণ সঙ্ঘ নৈশপ্রহরী বাহিনীর সদস্য সন্দীপ সাহাচৌধুরী, নিমাইতীর্থ রোড প্রতিরোধ বাহিনীর সচিপ্রসাদ ঘোষরা। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বাহিনীর সব সদস্যকে এই পরিষেবার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হবে।