রাজ্য সরকারের এই প্রচার সত্ত্বেও মানুষ যে এখনও সতর্ক হয়নি, শুক্রবার নবান্নের কাছে মোটরবাইক দুর্ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল। হেলমেট না পরার খেসারত দিলেন এক দম্পতি। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। গুরুতর আহত তাঁর স্বামী। রাজ্যের প্রধান সচিবালয় নবান্নের সামনে এই দুর্ঘটনায় রাত পর্যন্ত গাড়িটিকে চিহ্নিত করতে
না পারায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি নজরদারি নিয়েও।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে বাকসাড়া পালপাড়ার বাড়ি থেকে বাইকে চেপে অসুস্থ মেয়ের জন্য শিয়ালদহের কাছে হাসপাতাল থেকে ওষুধ আনতে যাচ্ছিলেন শুভাশিস ভৌমিক ও দীপমালা ভৌমিক (২৭)। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার দিকে আসার সময়ে বাইকটি উল্টে যায়। পুলিশের দাবি, দু’জনের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। ওই সময়েই পিছন থেকে আসা একটি গাড়ির চাকা ওই মহিলার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। চাকায় পিষ্ট হয়ে আহত হন তাঁর স্বামীও। হাওড়া জেলা হাসপাতালে দীপমালাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি শুভাশিস।
গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে রাজ্যের প্রধান সচিবালয়কে নবান্নে নিয়ে আসার পর থেকে নবান্ন চত্বর ও টোলপ্লাজা কলকাতা পুলিশের অধীনে। বাকি বিদ্যাসাগর সেতু সংযোগকারী সমস্ত অ্যাপ্রোচ রোডের দায়িত্ব হাওড়া সিটি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটে সেটি নবান্নের খুব কাছে হলেও তার দায়িত্বে হাওড়া সিটি পুলিশের। তবে ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করা গেল না কেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। হাওড়া সিটি পুলিশের এক অফিসারের বক্তব্য, ‘‘বেলা আড়াইটে নাগাদ ঘটনার সময়ে যানবাহন কম ছিল। লোকজনকে যেহেতু ওই পথে হাঁটতে দেওয়া হয় না, তাই প্রত্যক্ষদর্শীও মেলেনি। গাড়িটিকে চিহ্নিত করতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’