কলেজের গভর্নিং বডি ভেঙে দেওয়ায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষার ঘরে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রীরা। চুঁচুড়ার উইমেন্স কলেজের ঘটনা। পরে সদর মহকুমাশাসক পুলিশ নিয়ে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে গভর্নিং বডি ভেঙে দিয়েছেন। ছাত্রীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই গভর্নিং বডি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কলেজের এক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘নতুন অধ্যক্ষার তূঘলকি আচরণের জন্য ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। কলেজের কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য অধ্যক্ষা ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করেন। ছাত্রীদের কোনও কথাই তিনি গুরুত্ব দেন না।’’
অধ্যক্ষা সীমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহিরাগত কিছু ছাত্রীর মদতে আমাদের কলেজের একাংশ ছাত্রীদের মধ্যে অন্যরকম আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই তাদের আন্দোলনের জেরে কলেজের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশেই কলেজের গর্ভনিং বডি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রীদের কাছ থেকে এহেন আচরণ আশা করা যায় না।’’
কিন্তু একটি গভর্নিং বডির মেয়াদ ৩ বছর। এই কলেজের নতুন গভর্নিং বডির গঠন হয়েছে মাত্র ৬ মাস আগে। তা হলে কেন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে? অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে গভর্নিং বডির মত বিরোধের জেরেই উচ্চশিক্ষা দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ এই পরিস্থিতিতে নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সদর মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘সব সমস্যা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’