রিষড়া বিধানচন্দ্র কলেজ।
ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে হুগলির রিষড়া বিধানচন্দ্র কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের আগেই পৌঁছেছিল মামলা-মোকদ্দমায়। শ্রীরামপুর আদালতের নির্দেশে আপাতত স্থগিত হয়ে গেল ওই নির্বাচন।
শুক্রবার ওই আদালতের দ্বিতীয় দেওয়ানি বিচারক (জুনিয়র ডিভিশন) সোহম মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। শনিবার কলেজের টিচার-ইনচার্জ রমেশ কর বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ পেয়েছি। এ নিয়ে সভাও করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন, এর বেশি কিছু বলব না।’’ জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘কলেজে উন্নয়নের টাকা খরচের রাশ হাতে থাকা নিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ছাত্র সংসদের ক্ষমতা পেতে মরিয়া। সেই জন্যই সমস্যা।’’
কলেজটিতে টিএমসিপি বাদে অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। স্ক্রুটিনির পরে চূড়ান্ত প্রার্থী-তালিকাও প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ভোট হওয়ার কথা ছিল আগামী ৩১ জানুয়ারি। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে জট পেকেছে। টিএমসিপি-র একাংশের অভিযোগ, সংগঠনের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা গা-জোয়ারি করে মনোনয়ন তুলতে দেননি। খোদ ছাত্র সংসদের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোহিত যাদবও মনোনয়ন তুলতে পারেননি বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার মোহিত এবং আরও দুই ছাত্র শ্রীরামপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁরা যাতে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার আর্জি জানান। এর পরেই শুক্রবার আদালতের ওই নির্দেশ।
মোহিতের অভিযোগ, ‘‘মনোনয়ন তোলার জন্য কলেজে ঢুকতে গিয়ে দেখি, আমাদের দলেরই কিছু লোক বহিরাগতদের এনে গেট আটকে রেখেছেন। আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ বা থানা অভিযোগ নিতে চায়নি। রেজিস্ট্রি করে তিনি চিঠি পাঠান। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা থানা অভিযোগ মানেননি। দলের একটি অংশের দাবি, রিষড়ার উপ-পুরপ্রধান জাহিদ খানের ছেলে শাহিদের গোষ্ঠী তৃণমূলের একটি অংশের নেতাদের মদতে একতরফা ভাবে প্রার্থী দাঁড় করায়। এই দাবি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শাহিদ।
রিষড়া শহর তৃণমূলের নেতা হর্ষপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘অভিযোগকারী ছাত্রদের দাবি ভিত্তিহীন। নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। মনোনয়ন জমা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের উৎপত্তি কোথা থেকে হল, মাথায় আসছে না।’’ বিধায়ক তথা কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুনছি বিজেপির ইন্ধনে কিছু ছেলে এমন করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy