মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ ছিল। তার পরেও স্কুলে যোগ দিতে এসে ফিরে যেতে হলো শিক্ষককে।
ঘটনাটি হুগলির খানাকুলের রামনগর অতুল বিদ্যালয় (হাইস্কুল)-এর। স্কুলের রসায়নের শিক্ষক তাপসকুমার দাসের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে তাঁকে ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর সাসপেন্ড করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাপসবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে ২০১৫ সালের ২১ অগস্ট মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশ দেয় অবিলম্বে তাঁকতে যেন স্কুলে যোগ দিতে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের পরেও বুধবার তিনি গেলে তাঁকে স্কুলে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি বলে তাপসবাবু জানিয়েছেন। ওই দিন তাঁকে কাজে যোগ দেওয়াতে নিয়ে যান আরামবাগ মহকুমা মধ্যশিক্ষা অতিরিক্ত জেলা পরিদর্শকের প্রতিনিধি। এর জন্য সোমবারই স্কুল কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলা পরিদর্শক শ্যামলী গলুই।
তাপসবাবুর অভিযোগ, “স্কুল কর্তৃপক্ষের তোলা অভিযোগ যে মিথ্যা তা প্রমাণ হয়েছে। পর্ষদের নির্দেশমতোই স্কুলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ গা-জোয়ারি করে যোগ দিতে দিচ্ছেন না।’’ এ ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন তিনি। শ্যামলীদেবী বলেন, “ওই শিক্ষককে কাজে যোগ দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধা দিচ্ছেন। দফতরের বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’
তাপসবাবুকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া নিয়ে স্কুলের টিচার ইনচার্জ আলমগির কবীর বলেন, “পরিচালন কমিটি না চাইলে আমি কি করতে পারি।’’ স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি কাজি আলি হোসেন বলেন, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাপসবাবুকে স্কুলে যোগ দেওয়ার জন্য যে নির্দেশ দিয়েছে তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ন্যায় বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে। বিষয়টি বিচারাধীন। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy