Advertisement
১০ মে ২০২৪

তৃণমূল নেত্রীকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া লিচুবাগানের পুলিশ কোয়ার্টার্সে থাকতেন অপর্ণাদেবী। তাঁর স্বামী আশিস দাস পুলিশের এএসআই। এখন তিনি হাওড়ার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ-এ কর্মরত। তাঁদের একমাত্র ছেলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে।

অপর্ণা দাস।

অপর্ণা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:১৭
Share: Save:

বাস ধরবেন বলে রাস্তার পাশে বাস স্টপে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকাই একটি ছোট মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিষে দিল ৪২ বছরের অপর্ণা দাসকে। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার ব্যাতাইতলায়, জি টি রোডের এই দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। মধ্য হাওড়ার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। ঘাতক গাড়িটির চালককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া লিচুবাগানের পুলিশ কোয়ার্টার্সে থাকতেন অপর্ণাদেবী। তাঁর স্বামী আশিস দাস পুলিশের এএসআই। এখন তিনি হাওড়ার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ-এ কর্মরত। তাঁদের একমাত্র ছেলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। এলাকায় জনপ্রিয় এই তৃণমূল নেত্রীর মৃত্যুতে কর্মী এবং নেতারা শোকাহত। হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় রবিবার বলেন, ‘‘অপর্ণাদেবী ভাল সংগঠক ছিলেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের সঙ্গে কাজ করছিলেন। সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার ক্ষমতা ছিল তাঁর। অপর্ণার এই অকাল মৃত্যুতে জেলা এবং দলের ক্ষতি হল।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দলেরই একটি কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। ব্যাতাইতলায় এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে একা দাঁড়িয়েছিলেন বাস স্টপে। ওই সময়ে একটি ছোট মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসে ধাক্কা মারে তাঁকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়ির ধাক্কায় পাশেই একটি দোকানের শাটারের সঙ্গে পিষে যান অপর্ণাদেবী। স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। তাঁরাই আটকে রাখেন গাড়িচালককে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে অপর্ণাদেবীকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE