Advertisement
E-Paper

সামাল দিতে ভরসা সরকারি বাস

জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা শুভেন্দুশেখর দাসের দাবি, ‘‘জেলার সর্বত্র ধর্মঘট হচ্ছে না। আরামবাগ-তারকেশ্বরের দিকে বাস চলবে। যে সব রুটে চলবে না, সেখানে সরকারি বাস চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭ ০১:৪৯

‘বেআইনি’ গাড়ি বন্ধের দাবিতে আজ, হুগলিতে ধর্মঘটে নামছে জেলার বাস-মিনিবাস মালিকদের সংগঠন। ফলে জেলার মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা শুভেন্দুশেখর দাসের দাবি, ‘‘জেলার সর্বত্র ধর্মঘট হচ্ছে না। আরামবাগ-তারকেশ্বরের দিকে বাস চলবে। যে সব রুটে চলবে না, সেখানে সরকারি বাস চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসনের তরফে বাস মালিক সংগঠনের কর্তাদের আলোচনায় ডাকা হয়। ছিলেন‌ অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রদীপ আচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ঈশানী পা‌ল, জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা শুভেন্দুশেখর দাস। প্রশাসনের তরফে বাস মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়।

আন্দোলনকারীরা অবশ্য জানিয়ে দেন, দেওয়ালে তাঁদের পিঠ ঠেকে যাওয়াতেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত। এর পরও ‘বেআইনি’ গাড়ির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আগামী ৩০ জুন থেকে লাগাতার ধর্মঘটেরও হুমকি দেন তাঁরা।

বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে ‘বেআইনি’ অটো, টোটোর দাপটে বাসের ব্যবসা শিকেয় উঠেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বাস রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং পরিবহণ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি।

সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবব্রত ভৌমিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশও প্রশাসন কার্যকর করতে পারেনি।’’ দেবব্রতবাবুর কথায়, ‘‘এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, এর পরে আর ধর্মঘট ডাকতে হবে না। জেলায় বাস শিল্প ইতিহাস হয়ে যাবে।’’

জেলার পরিবহণ দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, নিয়ম ভেঙে চলা গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে তাঁরা চেষ্টা করছেন। গাড়ির সংগঠনগুলিকে বিষয়টি বলেও দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা জানান, সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খল পরিবহণ ব্যবস্থার জন্য বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রেকার বা টোটোর মালিকদের ফের ডেকে ছাদ এবং পাদানি কাটার ব্যবস্থা করতে বলা হবে। এতে কাজ না হলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।

তবে বাস মালিকরা পুলিশের দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, জিটি রোড, অসম লিঙ্ক রোডের মতো রাস্তাতেও টোটো চলাচলে লাগাম পরাতে পারেনি পুলিশ।

bus strike Government bus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy