টোটো বাঁচাতে জমায়েত। — নিজস্ব চিত্র।
প্রশাসন রাজ্য ও জাতীয় সড়কে টোটো চলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় শুক্রবার উত্তরপাড়ায় জিটি রোডের উপর দফায় দফায় অবরোধ করেন চালকেরা। বিহিত চাইতে ক্ষিপ্ত টোটো চালকেরা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আবাসনের দিকেও যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ অবশ্য তাঁদের হটিয়ে দেয়। তবে এদিন রাত পর্যন্ত পুলিশ-প্রশাসন এবং টোটো চালকদের মধ্যে চাপন উতোর চলছে।
বস্তুত আদালতের নির্দেশ মাফিক টোটো জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে চলতে পারবে না। তবে ওই দুই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী যান হিসেবে শহর ও গ্রামাঞ্চলে টোটো চলতে পারে। টোটো পরিবেশ সহায়ক যান হিসেবে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ রীতিমতো ব্যবহার করছেন। কিন্তু সম্প্রতি টোটো চালকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনের কোনও লাগাম না থাকায় ইদানিং টোটোর সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে প্রতিটি শহরেই। তার উপর কোনওরকম নিয়মরীতির তোয়াক্কা করেন না চালকেরা। তার ফলে পথদুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে তেমনিই যানজট মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে জিটি রোড-সহ সর্বত্র। এই বিষয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু অবশ্য বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মাফিক টোটো চলতেই পারে। কিন্তু তা অমান্য করে নয়। আমি জানি আমাদের দলের কোনও স্বীকৃত সংগঠন নেই টোটোর। আমাদের নাম করে কেউ সংগঠন অবশ্য চালাতে পারেন।’’
হাওড়ার শিবপুর থেকে হুগলির মগরা পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করে জিটি রোডে আমূল সংস্কার সম্প্রতি করে রাজ্য সরকার। কিন্তু রাস্তা ভালো হলেও গাড়ির গতি বাড়েনি। উল্টে যানজটে শহর অচল হয়ে যাচ্ছে নিত্যদিন। এই পরিস্থিতি থেকেই বের হতে রাজ্য সরকার পথ খুঁজছিল। তার উপর আদালতের নির্দেশিকা রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করেছে।
হুগলি জেলা পুলিশের এক পর্দস্থ কর্তা বলেন,‘‘সরকারি নির্দেশ মাফিক পুলিশ টোটো চালকদের আগাম জানিয়েছিল, জাতীয় ও রাজ্য সড়কে সড়কে টোটো চালানো যাবে না। শহরের মূল রাস্তা বাদে ভিতরে চালানো যেতে পারে। কিন্তু ওঁরা তা মেনে অযথাই নানা কর্মসূচি নিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy