বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে খুন হলেন হুগলির খানাকুলের এক বৃদ্ধ তৃণমূলকর্মী। শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তৃণমূলকর্মী আহমদ আলি আখুন (৬২) আরামবাগ মহকুমার হীরাপুরের বাসিন্দা। ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। তদন্তে নেমে রবিবার এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ সাইকেল চড়ে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন আহমদ আলি। হীরাপুরে একটি মাঠের কাছে হঠাৎই তাঁর পথ আগলে দাঁড়ায় জনা পনেরো দুষ্কৃতী। এর পর ওই বৃদ্ধকে বাঁশ-লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাথার পিছনে গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। ঘটনার খবর পেয়ে আহমদ আলিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, অবস্থায় অবনতি হওয়ায় গত রাতেই তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার সকালে মারা যান তিনি।
এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলকর্মী-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের ছেলে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোকারম হোসেনের নাম। অভিযোগ, বহু দিন থেকেই এলাকায় নানা দুর্নীতিতে জড়িত মোকারম। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আহমদ আলি এর প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে শেখ আরিকুল নামে স্থানীয় এক যুবককে আটক করেছে খানাকুল থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল অভিযুক্ত মোকারম। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নাজিবুল করিম এ বিষয়ে প্রথমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পরে তিনি বলেন, “পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে।”
ছবি: মোহন দাস।