এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
চন্দননগরের নাড়ুআ সাওলি বটতলা গড়ের ধার এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে শনিবার সকালে ঝুমা রায় (২৬) নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঝুমাদেবীর বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ করা হয় পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকের অত্যাচারেই ঝুমাদেবীর মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত তিনজনকে চন্দননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়ের ধার এলাকার বাসিন্দা কমল রায়ের সঙ্গে ভদ্রেশ্বরের বাঁধাঘাটের বাসিন্দা ঝুমার বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই আরও পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুমাদেবীর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। শুক্রবার রাতে বাড়ির সকলের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে তাঁকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুলিশে খবর দেন। ভদ্রেশ্বরে বধূর বাপের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠায়।
ঝুমাদেবীর ভাই গোপাল মালের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বোনের উপরে অত্যাচার চালাত। ওদের অত্যাচার সহ্য করে দিদিও আমাদের কিছু জানাত না। দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দিদি। ওদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy