আদালতের পথে ধৃতেরা।—নিজস্ব চিত্র।
মোবাইল চুরি করার জন্য বাড়ি থেকে কলেজ ছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ধৃত প্রদীপ ও বাবলু অগ্রবালের মঙ্গলবার ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। অভিযুক্তেরা চন্দননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মুন্না অগ্রবালের দুই ভাই। গ্রেফতারের পর দু’জনেই দোষ স্বীকার করেছে বলে পুলিশ দাবি করলেও মঙ্গলবার আদালতে তোলার সময় বাবলু অগ্রবাল বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হল। ওই ছেলেটা সম্প্রতি সঙ্গদোষে খারাপ পথে গিয়েছিল। ভাইয়ের মোবাইল চুরি হয়েছিল। কিছু বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ওই চুরিটা করেছিল। পরিচিত হওয়ায় আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে ও যে আত্মহত্যা করবে বুঝতে পারিনি।’’
চন্দননগরের খলিশানির বাসিন্দা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ঋষভ চন্দননগর খলিসানি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। প্রদীপের মোবাইল চুরির অভিযোগে গত রবিবার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধরের অভিযোগ ওঠে প্রদীপ ও বাবলু অগ্রবালের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় ঋষভ বাড়িতে ফিরে আসে। ছেলেকে চোর অপবাদ দেওয়ার খবরে বাবা দেবব্রতবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় সোমবারই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে ঘর থেকে ঋষভের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা রুমাদেবী ছেলেকে মারধর ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন প্রদীপ ও বাবলুর বিরুদ্ধে।
এ দিন কাউন্সিলর মুন্না বলেন, ‘‘মৃত্যু সব সময়ই দুঃখজনক। তবে আইন আইনের পথে চলবে। এই ছেলেটার বিরুদ্ধে আগেও একবার চুরির অভিযোগ উঠেছিল। যাই ঘটুক সঠিক তদন্ত করে আসল রহস্য বের করুক পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy