দাবি: জল জমার সমস্যার সমাধান চেয়ে পথে বাসিন্দারা। সোমবার, জগাছায়। নিজস্ব চিত্র
এলাকার অলিগলিতে জল আগে থেকেই জমেছিল। এর উপরে শুক্রবারের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নর্দমা উপচে দুর্গন্ধপূর্ণ পাঁক জল ঢুকে যায় বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল এমনকী থানার মধ্যেও। সোমবারও সেই জল নামেনি। উল্টে রাস্তায় বড় গর্ত তৈরি হয়ে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এরই প্রতিবাদে সোমবার সকালে সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন হাওড়া পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গ্যারেজ মোড় ও মহিয়াড়ি রোড দফায় দফায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। এর জেরে যানজট তৈরি হয়। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের তুলে দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছর দু’য়েক আগে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনোদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে অভিভাবকহীন হয়ে রয়েছে ওয়ার্ডটি। সেখানে ফের নির্বাচন হয়নি। এলাকার বাসিন্দা রাখি সরকার বলেন, ‘‘সামান্য বৃষ্টিতে ঘরে জল ঢুকে যাচ্ছে। তিন মাস ধরে এ অবস্থা চললেও কোনও নেতা কেউ খোঁজ নিতে আসেন না। কারণ এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নেই।’’ ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কার থেকে নিকাশির কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। গর্তে সাইকেল পড়ে প্রতি দিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।’’ এলাকাবাসী জানান, একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জগাছা থানাতেও জল ঢুকে যায়। সমস্যায় হয় তিনটি স্কুলের পড়ুয়াদের। পুরসভায় একাধিক বার স্মারকলিপি দিয়েও ফল হয়নি।
অবরোধের খবর পেয়ে মেয়র রথীন চক্রবর্তীর নির্দেশে পৌঁছন পাশের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ত্রিলোকেশ মণ্ডল। তিনি জানান, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অবিলম্বে নিকাশির সংস্কারের প্রয়োজন। রথীনবাবু বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডের পাশেই সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন। রেলের সব জল জগাছায় ঢুকে এই বিপত্তি হচ্ছে। রেলের সঙ্গে কথা বলে একটা বৃহত্তর পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। তবে আপাতত নিকাশির উন্নতির পাশাপাশি ওই এলাকার রাস্তাঘাট মেরামতির নির্দেশ দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy