E-Paper

জলঙ্গি ও রানিনগরে ‘লিড’ আশা করছে বাম-কংগ্রেস

রাজনৈতিক মহল যাই বলুক না কেন, রানিনগর এবং জলঙ্গি বিধানসভা নিয়ে খুব বেশি আশার আলো দেখছে না শাসক দল।

 সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ০৯:৫১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বাম-কংগ্রেস এবং তৃণমূলের কাছে পাখির চোখ ডোমকল মহকুমার দু’টি বিধানসভা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জলঙ্গি এবং রানিনগর এই দুই বিধানসভা নিয়ে বিশেষ করে বাম-কংগ্রেস শিবির আশায় বুক বেঁধেছে। তাদের দাবি, এই দু’টি বিধানসভা থেকেই তারা কম করেও ৪০ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকবে। এর মধ্যে বিশেষ করে জলঙ্গি নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী বাম-কংগ্রেস জোট। কেবল জোট নয়, তৃণমূল শিবিরের একটা অংশেরও দাবি, জলঙ্গিতে যে ভাবে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল দেখা গিয়েছে ভোট পর্বে, তাতে ওই বিধানসভা নিয়ে আশার আলো দেখছে না তারাও। আর যে রানিনগরে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসককে কোণঠাসা করেছিল বিরোধীরা, সেখানেও তারাই এগিয়ে থাকবে বলে দাবি করছে বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, রানিনগর বিধানসভায় নিশ্চিত ভাবেই তারা এগিয়ে থাকবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

রাজনৈতিক মহল যাই বলুক না কেন, রানিনগর এবং জলঙ্গি বিধানসভা নিয়ে খুব বেশি আশার আলো দেখছে না শাসক দল। জেলা তৃণমূলের এক নেতার দাবি, ‘‘ওই দু’টি বিধানসভা এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত হারিয়েছি। বিরোধীদের সংগঠন মজবুত হয়েছে। তা ছাড়া লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট আরও মজবুত হয়েছে। ফলে দু’টি বিধানসভা থেকেই আমাদের খুব বেশি কিছু আশা করার নেই।’’ যদিও রানিনগর বিধানসভার বিধায়ক তৃণমূলের সৌমিক হোসেন বলছেন, ‘‘যে যতই অঙ্ক কষুক না কেন, চার তারিখের পর আমরা হিসাব মিলিয়ে দেব। রানিনগর বিধানসভা থেকে বড় একটা অঙ্কের লিড আমরা আবু তাহের খানকে দেব, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’’

অন্যদিকে রানিনগরের ব্লক কংগ্রেস সভানেত্রী মমতাজ বেগম ওরফে হীরা বলছেন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল বুঝে গিয়েছে রানিনগরে কত ধানে কত চাল। বাকিটা চার তারিখের পরেই বুঝে যাবে শাসক। রানিনগরের মাটি থেকে তৃণমূলের নামটাই মুছে যাবে বলে মনে হচ্ছে আমাদের।’’

সীমান্তের এই দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের হারা-জেতা। এই দু’টি বিধানসভায় এগিয়ে থাকলেই জয়ের পথ অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে এখানে যদি তারা পিছিয়ে পড়ে, তা হলে কোনভাবেই জয় সম্ভব হবে না তাদের পক্ষে বলেও মনে করছেন অনেকে। ফলে লোকসভা নির্বাচনে এই দু’টি বিধানসভার গুরুত্ব অপরিসীম। এখন দেখার কে কতটা এগিয়ে থাকে সেটাই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 CPIM Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy