ভাইঝির বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ মেটাতে। তার জেরে পিসিশাশুড়িকে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে হাওড়ার জয়পুর থানার কাশমলি শেখ পাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম কোহিনূর বেগম (৫৫)। অভিযুক্ত জামাই ভুলোন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোহিনূরের বাড়ির অদূরেই তাঁর ভাইঝির শ্বশুরবাড়ি। বছর দশেক আগে তাঁর ভাইঝির সঙ্গে ভুলোনের বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ জামাই ভুলোন শেখ মদ্যপ অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রীকে মারধর করত। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। মাঝেমধ্যে পিসি ভাইঝির বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে আসতেন। রবিবার রাতেও ভুলোন মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করছিল। সেই সময় কোহিনূরের ভাইঝির ছেলে তাঁকে ডাকতে আসে। অন্য দিনের মতো এ দিনও তিনি ভাইঝির বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে ভাইঝি ও জামাইকে বোঝানোর সময় হঠাৎই ভুলোন একটা চেলা কাঠ দিয়ে কোহিনূরের মাথায় মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এ সব দেখে ভাইঝি চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় জয়পুর থানায়। রাতেই পুলিশ কোহিনূরকে জয়পুর বিবি ধর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই ফরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় ভুলোন। তল্লাশি চালিয়ে পরে পুলিশ তাকে বাগনান বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের দাবি, জেরায় ভুলোন অপরাধ স্বীকার করেছে। তার দাবি, পিসিশাশুড়ি তাদের পারিবারিক ঝামেলায় মাথা গলান এটা সে পছন্দ করত না। তা ছাড়া সব ক্ষেত্রে ভাইঝির হয়েই কথা বলতেন তিনি। এটাই তার না-পসন্দ ছিল। কোহিনূরের পরিবারের লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে ভুলোনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy