নতুন করে কোনও সংঘর্ষ না হলেও শুক্রবার সারা দিন থমথমে রইল হুগলির আরামবাগের পুরশুড়ার হরিণখোলা এলাকা। গত তিন দিন ধরে ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলেছে। এর ফলে প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই এলাকার দু’টি পঞ্চায়েতের দৈনন্দিন কাজ।
পুরশুড়া বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত হরিণখোলা ১ এবং হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েত এলাকায় গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান এবং বর্তমান বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামানের অনুগামীদের মধ্যে কোন্দল লেগেই রয়েছে। মাঝে মধ্যেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কড়া নির্দেশের পরও সেই গোলমাল থামেনি বরং বেড়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় দুই গোষ্ঠীর তাণ্ডব চলে। গুরুতর আহত হন একজন তৃণমূল কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে হরিণখোলা ১ এবং হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েতের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যরা আসছেন না বললেই চলে। সরকারি কর্মীরাও ভয়ে রয়েছেন। ওই দু’টি পঞ্চায়েতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মী জানান, গোলমালের সময়ে দু’টি পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই বোমাবাজি হয়। গ্রামবাসীরাও আতঙ্কে রয়েছেন।
উচ্চ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পরেও গোষ্ঠীকোন্দল রাস্তায় নেমে আসায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েছেন হুগলি জেলা তৃণমূলের নেতারা। পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান এবং বর্তমান বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামান দু’জনেই দাবি করেছেন, কে কার অনুগামী সেটা না দেখে অভিযুক্তদের শাস্তি দিক পুলিশ।
হুগলি জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘দলের যে স্তরের নেতা কিংবা কর্মীই হন, হামলার সঙ্গে যুক্ত সকলকেই চিহ্নিত করে ধরতে বলা হয়েছে পুলিশকে। দলীয়ভাবেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে খানাকুলের রাজা রামমোহন রায় কলেজে বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়। সেই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে খানাকুলের যুব নেতা হায়দার আলির। বৃহস্পতিবার বিকেলেই তাদের আটক করা হয়েছিল। রাতে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy