মোটরবাইক ছুটিয়ে এসে প্রকাশ্য রাস্তায় এক যুবককে পরপর তিন বার গুলি করে পালিয়ে গেল আততায়ী। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার আন্দুল রোডের কাছে পোদরা মোড়ে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। রাস্তায় দৌড়োদৌড়ি শুরু করে দেন লোকজন। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন বছর কুড়ির শেখ বাশার। অভিযোগ, ওই সময়ে শেখ জালাল গাজি নামে সমবয়সী আর এক যুবক মোটরবাইকে এসে তাঁকে লক্ষ করে পরপর তিনটি গুলি চালায়। প্রথম গুলি চলার পরেই আতঙ্কিত শেখ বাশার পালাতে গিয়ে পড়ে যান। ফলে বাকি দু’টি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে রাস্তার পাশের একটি সোনার দোকানের শাটারে লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পরেই হানাদার যুবক বাইক চালিয়ে আন্দুল রোডের দিকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নাজিরগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, শেখ বাশার ও শেখ জালাল গাজি, দু’জনেরই বাড়ি নাজিরগঞ্জের মাঝেরপাড়ায়। এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়েই দু’জনের মধ্যে কিছু দিন ধরে গোলমাল চলছিল। তারই পরিণতিতে এই ঘটনা। শেখ বাশার পুলিশের কাছে শেখ জালাল গাজির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই যুবক রাত পর্যন্ত ধরা পড়েনি।
গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার চায়ের দোকানেও গাঁজা-মদ বিক্রি হয়। বিভিন্ন এলাকার দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে উঠেছে ওই এলাকা। মাঝেমধ্যে মাদক বেচাকেনা নিয়ে মারপিটও বেধে যায়। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশকে সব জানিয়েও ফল হয়নি।
হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দারা আগে কখনও এ সব জানাননি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ দিনের ঘটনাতেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy