নিহত তাহের হুসেন।
কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়েই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গলার নলি কেটে খুন করা হল তাঁকে। খুনের অভিযোগ উঠেছে পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মহম্মদ তাহের হুসেন (৪২)। বাড়ি চাঁপদানির আরবিএস রোডে। রাতেই নিহতের ছেলে মহম্মদ হানিফ হুসেন ভদ্রেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পড়শি মুর্তাজা আলি পলাতক। তাকে ধরতে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় জনতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তাহের কলকাতার চিৎপুর রোডে মেছুয়া ফলপট্টিতে একটি দোকানে হিসাবপত্র দেখাশোনার কাজ করতেন। রোজকার মতোই শনিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ বৈদ্যবাটি স্টেশনে নেমে অটোয় করাতকলে আসেন। তারপর হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তাহের। অভিযোগ, তখনই তাঁকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে মুর্তাজা। ঘটনাস্থলেই তাহেরের মৃত্যু হয়। পরে লোকজন তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু তাহের নয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে তাহেরের স্ত্রী আসমিন বানুর উপরেও হামলা চালিয়েছিল মুর্তাজা। তাঁর গলায় ছুরি দিয়ে কোপ মারে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। কিন্তু সেই সময় তাহেরের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল মুর্তাজা মানসিক অবসাদে ভুগছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলে নেন তাঁরা।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, শনিবার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে চাঁপদানি ফাঁড়িতে গিয়ে মুর্তাজা পুলিশকে বলে, তাহেররা ‘গুনতুক’ করে। তাঁদের বাড়িতে একটি মৃতদেহ রাখা আছে।
হানিফ বলেন, ‘‘কেন যে মুর্তাজা এমনটা করল বুঝে উঠতে পারছি না। পুলিশ ওকে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy