হাওড়ার আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলায় শনিবার জেরা করা হল নির্যাতিতা বধূর জেঠশাশুড়িকে। ঘটনার রাতে তাঁর উপরেও অত্যাচার চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
এ দিন আমতা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শ্যামলকুমার রায়চৌধুরীর এজলাসে তাঁকে জেরা করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী বিমল রক্ষিত। ঘটনার রাতের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন আইনজীবী। তা বলতে গিয়ে নির্যাতিতা মহিলা সামান্য অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন। আইনজীবী যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন ঘটনার পরে গোপন জবানবন্দি আগে হয়েছে না ভিডিও ট্রায়াল আগে হয়েছে, তখন তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনজীবীকে বলেন, “আজেবাজে প্রশ্ন করবেন না।”
আইনজীবী তাঁকে প্রশ্ন করেন, যে চারটি মোবাইল ফোন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল তাদের নম্বর কী? ওই মহিলা একটির নম্বর বলেন। বাকি তিনটি নম্বর তিনি মনে করতে পারছেন না বলে জানান।
এখনও ডিএনএ পরীক্ষার ফল না আসার কারণ দেখিয়ে অভিযুক্তদের আইনজীবী এ দিন শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানালে তিনি তা মঞ্জুর করেন। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক। উল্লেখ্য, মুক্তিরচক গ্রামে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। স্থানীয় দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বরুণ মাখাল এবং রঞ্জিত মণ্ডল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। দুই তৃণমূল নেতা-সহ ৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। অটো উল্টে মৃত্যু হল এক যাত্রীর। শনিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের ঘোড়ারাস বেলতলায়। পুলিশ জানায়, মৃত আব্দুর মণ্ডল (৪২) বাদুড়িয়ার জসাইকাটি গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পরে জনতা রাস্তা অবরোধ করে। যার জেরে গোপালপুর-হাড়োয়া রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। অন্যদিকে, এ দিনই মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল শিশু-সহ তিনজনের। শনিবার কামনগর সেতুর কাছে একটি লরি পিষে দেয় তাঁদের। মৃতেরা হলেন শেফালি মণ্ডল (৩০), সবিতা মণ্ডল (৩৫), ও বৃষ্টি মণ্ডল (৪)। তাঁরা একটি মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন। সকলেই নবগ্রামের দফরপুরের বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy