আত্মঘাতী আমানতকারীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ-সহ কয়েক দফা দাবিতে শনিবার শ্রীরামপুরের রবীন্দ্রভবনে সভা করল ‘চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরাম’। সারদা-সহ বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারিত এজেন্ট ও আমানতকারীদের নিয়ে নানা জেলায় ওই সংগঠন গড়ে উঠেছে। সভায় ছিলেন সিপিএম নেতারাও।
ফোরামের তরফে দাবি জানানো হয়, সমস্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আমানতকারীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। এজেন্টদের সুরক্ষা দিতে হবে। তাঁদের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। সিবিআই তদন্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা চলবে না। ‘চিটফান্ড’ রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। শাস্তি দিতে হবে মদতদাতাদেরও। ফোরামের আহ্বায়ক, বর্ষীয়ান নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, “চিটফান্ডে সর্বস্ব খুইয়ে এ পর্যন্ত ৭৯ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। এর দায় কার? আমানতকারী এবং এজেন্টদের ন্যায্য পাওনা ফিরিয়ে দিতে আমরা যত দূর যাওয়ার যাব।” মুখ্যমন্ত্রী চিটফান্ড-মালিকদের আগলাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন অসীমবাবু।
জেলার নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার শ’খানেক এজেন্ট ও আমানতকারীও সভায় এসেছিলেন। অনেকের গলাতেই ছিল রাজ্য সরকারের সমালোচনার সুর। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট সুকুমার ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, “সরকার কেন শুধু সারদার টাকা ফেরত দিচ্ছে? সারদার মতো একই অপরাধ তো অন্য চিটফান্ড সংস্থাও করেছে।” দিব্যেন্দু দাস নামে এক এজেন্টের কথায়, ‘আমরা কোনও দোষ করিনি। অথচ, ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।”
সিপিএম নেতাদের মধ্যে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, দলের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। শ্যামল সেন কমিশনকে একহাত নিয়ে সুখবিলাসবাবুর অভিযোগ, “ফন্দি এঁটে সেন কমিশন গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিশন কাজের কাজ কিছুই করছে না।” দুর্গাপুজোর পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীর দিন ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারী এবং এজেন্টদের নিয়ে হাওড়ার মৌরিগ্রামে তাঁরা শান্তি-অবস্থানে বসার কর্মসূচি নিয়েছেন বলে জানান অসীমবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy