Advertisement
২১ মে ২০২৪

পড়ুয়াদের হইচই থামাতে স্কুলের গেটে বোমা

ছাত্রদের চিৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে স্কুলের গেটে বোমা মারার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। বোমার আওয়াজে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা ছোটাছুটি শুরু করলে কয়েকজন জখম হয়। মহম্মদ ফয়িম নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানি বাঁশবাগান এলাকায়। যদিও বিশাল শর্মা নামে অভিযুক্ত যুবকের দাবি, সে পটকা ফাটিয়েছে। বোমা নয়।

প্রতিবাদে বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। ইনসেটে, জখম ছাত্র।-নিজস্ব চিত্র।

প্রতিবাদে বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। ইনসেটে, জখম ছাত্র।-নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভদ্রেশ্বর শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৬
Share: Save:

ছাত্রদের চিৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে স্কুলের গেটে বোমা মারার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। বোমার আওয়াজে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা ছোটাছুটি শুরু করলে কয়েকজন জখম হয়। মহম্মদ ফয়িম নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানি বাঁশবাগান এলাকায়। যদিও বিশাল শর্মা নামে অভিযুক্ত যুবকের দাবি, সে পটকা ফাটিয়েছে। বোমা নয়। এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষ বলেন, “জেরায় ধৃত জানিয়েছে, স্কুলের ছেলেদের চিৎকার থামাতে সে পটকা ফাটিয়েছে। তবে সত্যিই সেটি পটকা না বোমা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন স্থানীয় একটি মাঠে চাঁপদানির ওই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। প্রতিযোগিতা শেষ হলে দুপুর ২টো নাগাদ পড়ুয়ারা স্কুলে ফিরে এসে হইহল্লা করছিল। অভিযোগ, তাতে অতিষ্ঠ হয়ে স্কুল লাগোয়া একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া বিশাল শর্মা নামে ওই যুবক হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলের গেটে একটি বোমা ছোড়ে। প্রচণ্ড আওয়াজে ভয় পেয়ে ছাত্ররা স্কুলের মধ্যে হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দেয়। এদিক ওদিক দৌড়তে শুরু করে। এতে কয়েকজন ছাত্র পড়ে গিয়ে আহত হয়। তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র মহম্মদ ফয়িমের মাথা ফেটে যায়। ছাত্ররা যাতে বাইরে বেরোতে না পারে সে জন্য শিক্ষকেরা স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেন।

বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। উত্তেজিত বাসিন্দারা ওই যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে চন্দননগরের এসডিপিও সৈকত ঘোষ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) জয়িতা বসু বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর অবরোধ উঠে যায়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ওয়ালি সাহেব বলেন, ‘‘বার্ষিক ক্রীড়ার পর স্কুলে ফিরে আসে ছাত্ররা। তার কিছুক্ষণ পরে গেটের সামনে প্রচণ্ড আওয়াজে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ছাত্ররা ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়। কয়েকজন পড়ে গিয়ে আহত হয়। পরে শুনি বোমা পড়েছে। ছেলেরা স্কুলে চিৎকার করেই। কিন্তু তা বলে বোমা মারতে হবে! যে মেরেছে তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। ছাত্ররা কেউ বাইরে থাকলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE