Advertisement
E-Paper

বিক্ষোভে বন্ধ ইন্টারভিউ, অভিযুক্ত টিএমসিপি-ই

দু’টি পদে চাকরির জন্য হরিপাল বিবেকানন্দ কলেজে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ঘেরাও-হুমকির মুখে পড়ে ফিরে যেতে হল শ’খানেক চাকরিপ্রার্থীকে। স্থগিত হয়ে গেল ইন্টারভিউ। শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে কলেজ চত্বরে ওই গোলমালের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা দুষেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৪ ০৪:৩২

দু’টি পদে চাকরির জন্য হরিপাল বিবেকানন্দ কলেজে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ঘেরাও-হুমকির মুখে পড়ে ফিরে যেতে হল শ’খানেক চাকরিপ্রার্থীকে। স্থগিত হয়ে গেল ইন্টারভিউ।

শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে কলেজ চত্বরে ওই গোলমালের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা দুষেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-কে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ইন্টারভিউয়ের কথা কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন আগে ওই সংগঠনকে জানাননি, এ নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করে গোটা প্রক্রিয়া বানচাল করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কলেজের টিএমসিপি নেতৃত্ব ওই অভিযোগ মানেননি।

তবে, এ দিনই চন্দননগরে রবীন্দ্রভবনে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘটনার কথা জানতে পেরে বিরক্তি প্রকাশ করেন। তখনই ওই কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার সামন্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অবশ্য তিনি পারেননি। মঞ্চ থেকেই গোলমালের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য তিনি হরিপালের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে নির্দেশ দেন। পার্থবাবু বলেন, “কলেজে কারা চাকরি পাবেন, তা নিয়ে ছাত্র সংগঠনের কেউ যেন নাক না গলায়। নিয়ম এবং আইন মোতাবেকই নিয়োগ হবে।” সংগঠনের কেউ নাক গলালে তাঁর বিরুদ্ধে সংগঠনগত ভাবে ব্যবস্থা নিতে হুগলি জেলা টিএমসিপি সভাপতি শুভজিৎ সাউকেও নির্দেশ দেন পার্থবাবু।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান এবং গেস্ট-লেকচারার পদে নিয়োগের জন্য দিন কয়েক আগে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার ছিল ইন্টারভিউ। কলেজ খোলার পর থেকেই চাকরিপ্রার্থীরা জড়ো হওয়া শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, যে ভাবে বিক্ষোভকারীরা হুমকি দিচ্ছিলেন, তাতে তাঁরা ভয় পেয়ে যান। ঘণ্টা খানেক ধরে তাঁদের ঘেরাও করে রাখা হয়। ফলে, তাঁরা ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে পারেননি। কলেজ চত্বর থেকেই তাঁদের ফিরে যেতে হয়। এর পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ ইন্টারভিউ স্থগিত করে দেন।

ওই কলেজের টিএমসিপি-র এক নেতার দাবি, “আমরা কোনও বিক্ষোভ দেখাইনি। আগেই কলেজে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশিত হয়নি। যাঁরা ওই পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরাই এ দিন বিক্ষোভ দেখান। সেখানে কিছু ছাত্র সামিল হতে পারে। কিন্তু তার সঙ্গে সংগঠনের কোনও যোগ নেই।” অধ্যক্ষ পাল্টা দাবি করেন, কলেজে এ দিন যে পদের জন্য ইন্টারভিউ ছিল, তার সঙ্গে আগের পরীক্ষার কোনও যোগ নেই। এ দিনের বিষয়টি আলাদা। ছাত্র সংসদকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন ছিল না। তিনি বলেন, “এ দিন

এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যাতে শেষ পর্যন্ত আর ইন্টারভিউ নেওয়া যায়নি। পুরো বিষয়টিই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

ওই কলেজের ছাত্র সংসদ টিএমসিপি-র দখলেই রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে ওই সংগঠনের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, কলেজ সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই বক্তব্য মন্ত্রী বেচারামবাবুরও।

tmcp agitation interview
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy