Advertisement
E-Paper

বধূর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

অগ্নিদগ্ধ এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়ার অভিরামপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁদের মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বাপেরবাড়ির লোকজন অভিরামপুরে শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় তাঁর দেহটিকে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৬ ০১:৩৯

অগ্নিদগ্ধ এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়ার অভিরামপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁদের মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বাপেরবাড়ির লোকজন অভিরামপুরে শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় তাঁর দেহটিকে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় তাঁরা কবর খুঁড়েও ফেলেন। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশী এবং পুলিশের বাধায় শেষ পর্যন্ত দেহ নিয়ে নিজেদের গ্রামে ফিরে যান বাপেরবাড়ির লোকেরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম সাজেদা বেগম (২৬)। তাঁর বাপেরবাড়ি উলুবেড়িয়ারই বেলে সিজবেড়িয়া গ্রামে। ১ মে দুপুরে বাড়ির বারান্দায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে ছটফট করতে দেখে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে বাপেরবাড়িতে খবর দেন। বাপেরবাড়ির লোকেরা তাঁকে কলকাতার মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান। এর পরেই বাপেরবাড়ির লোকেরা বধূর স্বামী সাদের আলি-সহ সহ শ্বশুরবাড়ির ৭ জনের বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়া থানায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ভ্যান চালক সাদেরের সঙ্গে বছর দশেক আগে সাজেদার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। সাজেদার দাদা মোমিন মিদ্যার অভিযোগ, ‘‘বোনের গায়ে সাদের আলি একাধিক বার বিড়ির ছ্যাঁকাও দিয়েছে। থানায় একাধিকবার অভিযোগও জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত বোনটাকে পুড়িয়ে মারবে আমরা কল্পনা করতে পারিনি।’’ ১ মে-র পর থেকেই সাদেরের পরিবারের সকলেই চম্পট দিয়েছে বলে পুলিশ দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

Burn uluberia sajeda begam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy