Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বন্ধ হওয়া জলপ্রকল্পের কাজ শুরু বাঁশবেড়িয়ায়

আগের বাম পরিচালিত পুরবোর্ড ঘটা করে উদ্বোধনের পরে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই মাঝপথে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পরে তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান পুরবোর্ড অসমাপ্ত ওই জলপ্রকল্পের কাজ রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় ফের শুরু করেছে।

পড়ে রয়েছে প্রকল্পের যন্ত্রপাতি। ছবি: তাপস ঘোষ।

পড়ে রয়েছে প্রকল্পের যন্ত্রপাতি। ছবি: তাপস ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৪ ০১:২৩
Share: Save:

আগের বাম পরিচালিত পুরবোর্ড ঘটা করে উদ্বোধনের পরে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই মাঝপথে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পরে তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান পুরবোর্ড অসমাপ্ত ওই জলপ্রকল্পের কাজ রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় ফের শুরু করেছে।

হুগলির বাঁশবেড়িয়ার সাহাগঞ্জ খামারপাড়ায় হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ২০ বিঘা জমিতে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে ওই জলপ্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা। ২০০৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঘটা করে জলপ্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেএমডিএ-কে। একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরু করে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাজ ঠিকঠাক চললেও যে ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়ছিল তারা কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ২০১০ সাল নাগাদ মূল প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও জল সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ওই জলপ্রকল্পে গঙ্গা থেকে জল তোলার জন্য প্রয়োজনীয় জেটির নির্মাণকাজও শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোনও এক অজ্ঞাতকারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার বেশ কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

শিলান্যাসের ফলক।

প্রায় চার বছর ধরে পড়ে থাকার পর বতর্মান তৃণমূল পুরবোর্ড ক্ষমতায় এসে জলপ্রকল্পের কাজ ফের চালু করতে উদ্যোগী হয়। এ নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ, কেএমডিও এবং পুর ও নগরোরন্নয়ন দফতরের মধ্যে এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও হয়। কাজ শুরু করতে নতুন এক ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে ফের জলপ্রকল্পের কাজ শুরু হয়। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মূল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। জলপ্রকল্পটি চালু হয়ে গেলে প্রথম পর্যায়ে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৩০টি ওয়ার্ড এবং বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলকষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন। প্রকল্প থেকে সরবরাহ করা জল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৭টি এবং বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ৩টি ট্যাঙ্কে রাখা হবে। সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তা বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে কেন্দ্রের পরবর্তী বরাদ্দ এলেই।

হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রধান তৃণমূলের গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগের পুরবোর্ড প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা ক্ষমতা এসে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ফের প্রকল্পের কাজ চালু ব্যবস্থা করি। কাজ শেষ হলে দুই পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের জলকষ্ট দূর হবে।” বাঁশবেড়িয়া পুরসভার তৃণমূল উপপ্রধান অমিত ঘোষ বলেন, “হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় প্রকল্পটি শেষ হলে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের পানীয় জল নিয়ে অভিযোগের অবসান ঘটবে।”

আগের ঠিকাদারের মাঝপথে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তৎকালীন বাম পরিচালিত পুরবোর্ডের চ্য়ারম্যান ্সিত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ঠিকাদার সংস্থা ব্যক্তিগত কারণে চলে যাওয়ায় মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তার পর আমাদের পুরবোর্ড চলে যাওয়ায় আর কাজ চালু করা যায়নি।”

কেএমডিএ-র বাস্তুকার পরাগ মজুমদার বলেন, “বর্তমানে প্রকল্পের কাজ দ্রতগতিতে এগোচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal water project bansberia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE