Advertisement
E-Paper

ভিক্টোরিয়া নিয়ে ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিষ্ফলা

ফের এক দফা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হ‌ল মঙ্গলবার। কিন্তু শ্রমিক অসন্তোষে জেরবার ভদ্রেশ্বরের ভিক্টোরিয়া চটকলে উৎপাদন চালু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না। তিনটির বদলে দু’টি শিফ্টে কাজ করা নিয়ে ওই চটকলে শ্রমিক অসন্তোষ ছিলই। গত ৮ নভেম্বর ‘হ্যাসিং বিভাগ’ (তাঁতঘর) বন্ধ হওয়া এবং সেখানকার ছ’শো শ্রমিককে অন্য বিভাগে কাজ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আশঙ্কায় শ্রমিকদের একাংশ চটকলে তাণ্ডব চালান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৮

ফের এক দফা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হ‌ল মঙ্গলবার। কিন্তু শ্রমিক অসন্তোষে জেরবার ভদ্রেশ্বরের ভিক্টোরিয়া চটকলে উৎপাদন চালু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না।

তিনটির বদলে দু’টি শিফ্টে কাজ করা নিয়ে ওই চটকলে শ্রমিক অসন্তোষ ছিলই। গত ৮ নভেম্বর ‘হ্যাসিং বিভাগ’ (তাঁতঘর) বন্ধ হওয়া এবং সেখানকার ছ’শো শ্রমিককে অন্য বিভাগে কাজ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আশঙ্কায় শ্রমিকদের একাংশ চটকলে তাণ্ডব চালান। প্রহৃত হন প্রোডাকশন ম্যানেজার জ্ঞানচন্দ্র উপাধ্যায়। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া হয়। গোলমালে জড়িত অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরেই কর্তৃপক্ষ চটকলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।

উৎপাদন চালুর জন্য এর আগে প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিক বৈঠক হলেও ঐক্যমত্য হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতায় শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের ঘরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। মলয়বাবু ছাড়াও শ্রম দফতরের পরিষদীয় সচিব তপন দাশগুপ্ত, রাজ্যের সহকারী শ্রম কমিশনার মহম্মদ নাসিম, মালিকপক্ষ এবং ১৫টি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, মিলে ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা করে সব পক্ষই। ঠিক হয়, এফআইআরে নাম থাকা শ্রমিকদের এখনই কাজে নেওয়া হবে না। শ্রমিক সংগঠনগুলিও তাঁদের পাশে দাঁড়াবে না। তবে, এ দিন মিল খোলার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। এ দিন উৎপাদন, শ্রমিকদের পরিচয়পত্র চালু করা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দেন মিল কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে মিলে উৎপাদন চালু করা যাবে বলে অবশ্য সব পক্ষই অভিমত প্রকাশ করেন। কাল, বৃহস্পতিবার ফের তপনবাবুর উপস্থিতিতে চন্দননগরের উপ-শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্তের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। তপনবাবু বলেন, “আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই মিলে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি-র জেলা সম্পাদক দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শ্রমিক সংগঠনের নাম করে মিলে যে ভাবে হামলা হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। মিলের সব ইউনিট চালানো হোক।” আইএনটিটিইউসি নেতা বিদুৎ রাউত বলেন, “কিছু বহিরাগত মিলে অশান্তি পাকিয়েছে। তার জন্য পাঁচ হাজার শ্রমিক সমস্যায় পড়েছেন। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

victoria jute mill bhadreswar southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy