Advertisement
E-Paper

লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত তরুণী

কলেজ নেই, তাই শুধু টিউশন সেরেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে বলে বেরিয়েছিল বছর একুশের তরুণীটি। কিন্তু আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে ফোন এল, হাসপাতালে পড়ে রয়েছে তাঁর নিথর দেহ। রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড় স্টেশনে। মৃতার নাম নূপুর দত্ত। বাড়ি বালির সাঁপুইপাড়ার অধিকারী পাড়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩২
নূপুর দত্ত

নূপুর দত্ত

কলেজ নেই, তাই শুধু টিউশন সেরেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে বলে বেরিয়েছিল বছর একুশের তরুণীটি। কিন্তু আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে ফোন এল, হাসপাতালে পড়ে রয়েছে তাঁর নিথর দেহ। রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড় স্টেশনে। মৃতার নাম নূপুর দত্ত। বাড়ি বালির সাঁপুইপাড়ার অধিকারী পাড়ায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেডফোন কানে লাগিয়ে লাইন পেরোচ্ছিলেন নূপুর। কিন্তু তরুণীর পরিজনেরা এ কথা মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, কানে হেডফোন লাগিয়ে চলাফেরা করতেন না নূপুর। পুলিশ জানায়, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী নীলকমল দত্তের একমাত্র মেয়ে নূপুর। তিনি উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ইতিহাসের ছাত্রী। রোজ সাড়ে ন’টা থেকে পৌনে ১০টার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলেজে যেতেন তিনি। রোজের মতো এ দিনও বেরিয়েছিলেন। তবে এ দিন কলেজে ক্লাস না থাকায় শুধু টিউশন সেরে দুপুরের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলে বেরোন নূপুর। তাঁর মা কল্পনাদেবী অসুস্থ।

এ দিন ওই তরুণীর পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে পড়শিদের জটলা। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই নীলকমলবাবু। কল্পনাদেবীকে খবরটি জানানো হয়নি। নূপুরের বাড়ির পাশের দোকানদার বাসুদেব চক্রবর্তী বলেন, “বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটোয় চেপে স্টেশনে গেল মেয়েটা। তার আগে বাড়ির নীচে বাবার দোকানে দেখা করে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে খবরটা পেলাম।” এ দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটোয় চেপে বেলুড় স্টেশনে গিয়েছিলেন নুপূর। পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে রেললাইন টপকে তিনি তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাচ্ছিলেন উত্তরপাড়ার ট্রেন ধরতে। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, অন্যমনস্ক থাকায় পাঁচ নম্বর লাইনে ট্রেন এসে গেলেও ওই তরুণী বুঝতে পারেননি। তখনই ধাক্কা খেয়ে কিছুটা দূরে ছিটকে পাঁচ ও চার নম্বর লাইনের মধ্যে পড়েন তিনি। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে।

রেল পুলিশ এসে নূপুরকে স্টেশনের পাশের বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্‌সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা হেডফোনের কথা বললেও নূপুরের কাকা বিজয় দত্ত বলেন, “ঠিক বুঝতে পারছি না। ও হেডফোন কানে দিয়ে চলাফেরা করত না।”

train run over bally death nupur dutta southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy