Advertisement
১৯ মে ২০২৪

শ্রীরামপুরে বন্ধ জুটমিল

শ্রমিক বিক্ষোভকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝোললেন কর্তৃপক্ষ। ফলে কালীপুজোর মুখে সেখানকার কয়েক হাজার শ্রমিক বেকায়দায় পড়লেন। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শ্রমিকদের হাতে কয়েক জন ম্যানেজার প্রহৃত হন। এক ম্যানেজারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মারধরের অভিযোগ মানেননি শ্রমিকরা। শ্রীরামপুরের ডেপুটি শ্রম কমিশনার অমল মজুমদার বলেন, “সোমবার বিষয়টি নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের কথা বলে মিল খোলার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

বন্ধ ইন্ডিয়া জুটমিলের সামনে শ্রমিকরা।

বন্ধ ইন্ডিয়া জুটমিলের সামনে শ্রমিকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৪৬
Share: Save:

শ্রমিক বিক্ষোভকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝোললেন কর্তৃপক্ষ। ফলে কালীপুজোর মুখে সেখানকার কয়েক হাজার শ্রমিক বেকায়দায় পড়লেন। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শ্রমিকদের হাতে কয়েক জন ম্যানেজার প্রহৃত হন। এক ম্যানেজারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মারধরের অভিযোগ মানেননি শ্রমিকরা। শ্রীরামপুরের ডেপুটি শ্রম কমিশনার অমল মজুমদার বলেন, “সোমবার বিষয়টি নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের কথা বলে মিল খোলার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” প্রশাসন ও মিল সূত্রের খবর, কম উৎপাদনের করছেন, এই অভিযোগে তাঁতঘর বিভাগের কয়েক জন শ্রমিককে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের সহকর্মীরা ওই নির্দেশের বিরোধীতা করেন। সকাল ১১টা নাগাদ এ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বেলা ২টো নাগাদ পরের শিফটের শ্রমিকরা কাজে ঢোকেন। তাঁদের কয়েক জন বিক্ষোভে সামিল হন। কর্তৃপক্ষের লোকজনকে ঘেরাও করা হয়। অভিযোগ সেই সময়, তাঁত বিভাগের মাকু-সহ বিভিন্ন জিনিস কর্তৃপক্ষের লোকজনকে তাক করে ছুড়তে তাকে শ্রমিকরা। মিলে হুলুস্থুল পড়ে যায়। কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান শ্রীরামপুর থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মিলের সিইও শম্ভু পাল জানান, বেশ কিছুদিন ধরে কম উৎপাদন করছিলেন, এমন কয়েক জন শ্রমিককে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, “বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে যায়। তারা সিসিটিভি ভাঙচুর করে। ম্যানেজারদের গায়ে হাত তোলে। তপন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ম্যানেজারকে শ্রীরামপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কারখানা বন্ধ করা ছাড়া অন্য রাস্তা ছিল না।” শ্রমিকরা অবশ্য কর্তৃপক্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। দেবেন্দ্র প্রসাদ নামে এক শ্রমিক বলেন, “মালিকপক্ষ কয়েক জন সহকর্মীকে বসানোর চক্রান্ত করছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়। কাউকে মারধর করা হয়নি। ওঁরাই আমাদের ধাক্কাধাক্কি করেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

lockout notice at jutemill india jutemill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE