সলপ ১ পঞ্চায়েতের পর এ বার সাঁকরাইলের থানা-মাকুয়া পঞ্চায়েত। ফের হাওড়ার একটি পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল সদস্যেরা। এর জেরে ওই পঞ্চায়েতে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও ফের সামনে এল। ঠিকমতো এলাকার উন্নয়ন করতে না পারা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার তৃণমূল পরিচালিত থানা-মাকুয়া পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান মঞ্জু সেনের বিরুদ্ধে বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূল সদস্যেরা। ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন সিপিএম ও কংগ্রেস সদস্যেরাও। বিডিও প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, ১০ সদস্যের সই করা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির দিন স্থির হয়নি।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধান দাবি করেন, “পঞ্চায়েতের সকলে জানেন, মানুষের সঙ্গে আমি কেমন ব্যবহার করি। উন্নয়নের স্বার্থে নয়, উন্নয়ন রুখতে এবং দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই আমার বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করা হয়েছে।” মাস খানেক আগেই ডোমজুড়ের সলপ-১ পঞ্চায়েতেও দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূল সদস্যেরা। তার জেরে প্রধানকে সরতেও হয়। থানা-মাকুয়া পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৭। এর মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ন’টি, সিপিএমের সাতটি এবং কংগ্রেসের একটি। তৃণমূলেরই একটি সূত্রের দাবি, গত বছর বোর্ড গঠনের সময়ে মঞ্জুদেবীর প্রধান নির্বাচন ঘিরেও দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোটাভুটিও হয়। তখন পলাশ বাছাড়-সহ তিন তৃণমূল সদস্য মঞ্জুদেবীর বিরোধিতা করেন। এ বারও পলাশবাবুর নেতৃত্বেই অনাস্থা প্রকাশ করেন দলের আরও দুই সদস্য, সিপিএমের ছ’জন এবং এক কংগ্রেস সদস্য। পলাশবাবু বলেন, “‘প্রধানের জন্য দল এবং পঞ্চায়েতের ভাবমূর্তি কলুষিত হচ্ছে। সেই কারণেই আমরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।”
দলে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অবশ্য মানতে চাননি সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দার। তিনি বলেন, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে এখন কিছু নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যেরাই এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে এ সব সিদ্ধান্ত নেন।” সাঁকরাইলের তৃণমূল নেতা তপন পাল জানান, অনাস্থা আনা ঠিক হয়নি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy