‘কালীঘাটের কাকু কে চিনি না’, বলছেন কুন্তল! ‘ও সব জানে’, দাবি তাপসের। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্রেই ভেসে উঠেছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম। তবে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কুন্তলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনই সেই কাকুকে চেনেন না বলে দাবি করেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল অবশ্য পাল্টা বলেছেন, “ও সব জানে, ওকেই জিজ্ঞাসা করুন।” কুন্তল এ-ও দাবি করেন যে, ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসাবে যে সুজয় ভদ্রকে নিয়ে চর্চা চলছে, তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ নন। দু’জনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে ‘কাকু-রহস্য’ আরও ঘনীভূত হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে জেরায় সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের সামনে তাপস দাবি করেছিলেন, ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষই তাঁকে জানান যে, কালীঘাটের এক কাকু বেআইনি নিয়োগের ‘সব ব্যবস্থা’ করে দিচ্ছেন। উপরমহলে নিজের যোগাযোগের কথা বলতে গিয়েই কুন্তল এমন বলতেন বলে দাবি করেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস। তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছিলেন, সুজয় ভদ্র নামে এক ব্যক্তিকেই কুন্তল ‘কালীঘাটের কাকু’ বলতেন। সেই সুজয় অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন, তাঁকে কেন ‘কালীঘাটের কাকু’ বলা হচ্ছে, তা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁর কাছে কোনও টাকা জমা পড়েনি বলেও জানান সুজয়। কুন্তল অবশ্য আরও এক বার দাবি করেছেন, গোপাল দলপতিই নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে তোলা যাবতীয় টাকা নিতেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে তিন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষকে। তার আগে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। জেরায় মিলতে পারে নতুন তথ্য, এমনটা দাবি করে আবারও তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানাতে পারে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy