স্তূপ: ডায়মন্ড হারবারে তখন একের পর এক আসছে দেহ। ফাইল চিত্র
১৭২ জনের মৃত্যুর পরেও এখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা প্রান্তে চোরাগোপ্তা চলছে চোলাইয়ের কারবার। যদিও পুলিশের দাবি, কড়া নজরদারিতে চোলাইয়ের দাপট এখন অনেক কম। অনেকের নেশা বাংলা মদে বদলেছে বলেও জানালেন মানুষজন।
২০১১ সালে চোলাই-কাণ্ডের পরে কারবারিরা বিকল্প পেশার দাবিতে রীতিমতো মিছিল করেছিলেন। চোলাইয়ের কারবার ছেড়ে তাঁরাও সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চান বলে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন এলাকায়। অনেকে সত্যিই পরবর্তী সময়ে পেশা বদলে ফেলেন। গোচরণ এলাকার ব্যক্তি জানালেন, আগে ভাটির কারবার ছিল। এখন সোনারপুরে বাড়ি করেছেন। চোলাই ব্যবসা ছেড়ে রঙের দোকান চালাচ্ছেন। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘চোলাই ব্যবসায় প্রচুর মুনাফা ছিল। কিন্তু পরিস্থতির চাপে অনেকে সে পেশা ছেড়েছেন।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কারবার একেবারে বন্ধ হয়নি। সুর্য্যপুর, জয়নগর, মন্দিরবাজারের কিছু এলাকায় চোরাগোপ্তা চোলাই বিক্রি হচ্ছে। ওই সব চোলাই পৈলান ও ন’হাজারি এলাকা থেকেই আসছে। কিন্তু আগের মতো নয়। পরিমাণ কমেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিষ্ণুপুরের পৈলান ও ন’হাজারি এলাকায় চোলাই ভাটির খোঁজ করা হবে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে।’’
উস্তি ও মগরহাট এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের কথায়, ‘‘ওই ঘটনার পরে সাধারণ মানুষ চোলাই মদের কারবার দেখলেই প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন। সে কারণে চোলাই ব্যবসা আর মাথাচাড়া দিতে পারছে না।’’ রাজনৈতিক ভাবেও চোলাইয়ের মোকাবিলা করা হয় বলে দাবি শাসক দলের এক নেতার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানালেন, এখন মূলত সরকারি দোকান থেকে দেশি মদ কিনে খাওয়ার রেওয়াজ তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy