Advertisement
E-Paper

দু’পক্ষের সম্মতিতে ভাঙড়ে জটমুক্তি

রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, গুলি-বোমা, মিটিং-মিছিল-অবরোধ, ধরপাকড়ের পরে সমাধান সূত্র মিলল আলোচনার টেবিলেই। মঙ্গলবার থেকে ফের সাবস্টেশন তৈরির থেমে থাকা কাজ শুরু হবে ভাঙড়ে। শনিবার সেই মতো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সরকার পক্ষ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫৬
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, গুলি-বোমা, মিটিং-মিছিল-অবরোধ, ধরপাকড়ের পরে সমাধান সূত্র মিলল আলোচনার টেবিলেই। মঙ্গলবার থেকে ফের সাবস্টেশন তৈরির থেমে থাকা কাজ শুরু হবে ভাঙড়ে। শনিবার সেই মতো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সরকার পক্ষ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে।

আন্দোলনকারীদের আরও কিছু দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। এলাকায় রাস্তাঘাট-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হবে। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হবে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো আলোচনার মাধ্যমে পাওয়ার গ্রিড সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সাবকমিটি তৈরি করা হবে।’’ এ দিনের সমাধান সূত্রকে জয় হিসেবেই দেখছে জমি কমিটি। নকশাল নেতা অলীক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পাওয়ার গ্রিড নয়, ভাঙড়ে আঞ্চলিক সাবস্টেশন তৈরি হবে বলে সরকার জানিয়েছে।’’

প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন ভাঙড়ে সাবস্টেশনের বেশির ভাগটাই তৈরি করে ফেলেছিল। তার সঙ্গে কয়েকটি হাইটেনশন লাইন যুক্ত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা ছিল। রাজারহাট-গোকর্ণ-পূর্ণিয়ার দিকে একটি লাইনের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছিল। জিরাট-সুভাষগ্রামের দিকে দ্বিতীয় লাইনের কাজও অনেক দূর এগিয়েছিল। এর মাঝেই শুরু হয় আন্দোলন।

আরও পড়ুন: ৭৬৫ কেভির গ্রিড লাইন পাচ্ছে রাজ্য

এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৪০০ কেভির ওই দু’টি লাইনের কাজ শেষ করা হবে। জিরাট-সুভাষগ্রামে আরও একটি লাইন টানার পরিকল্পনা ছিল। সূত্রের খবর, সেই লাইন হচ্ছে না। এ ছাড়াও, রাজারহাট-নিউটাউনের দিকে রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার ২২০ কেভির দু’টি লাইনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি লাইন যাবে মাটির নীচ দিয়ে। একটি যাবে উঁচু টাওয়ারের মাধ্যমে। এ জন্য সাব স্টেশনের ৩০০ মিটারের মধ্যে একটি উঁচু টাওয়ার বসানো হবে।

শনিবার জেলাশাসকের দফতরে জমি কমিটি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে জেলাশাসক ছাড়াও ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ। জমি কমিটির পক্ষে ছিলেন অলীক, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী-সহ অন্যরা। অলীকরা সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি করলেও ‘ভাঙড় আন্দোলন সংহতি কমিটি’র অভিযোগ, ভাঙড়ের মানুষের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করা হয়েছে।

কিন্তু প্রকল্প কাটছাঁট করায় বিদ্যুৎ পরিষেবার উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না তো? বিশেষজ্ঞেরা জানান, প্রকল্প না হওয়ার থেকে এখন যতটুকু হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতেও পরিষেবা অনেকটাই ভাল হবে।

Bhangar Power Grid Bhangar State Government State Electricity Power Transmission Company ভাঙড়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy