Advertisement
E-Paper

তদন্ত মানে জেল নয়, পুলিশকে বললেন প্রধান বিচারপতি

তদন্ত মানেই জেলে ভরে দেওয়া নয়, মোর্চা নেত্রীর জামিনের মামলার শুনানি চলাকালীন পুলিশকে এমনই বললেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৭
বিশ্বনাথ সমাদ্দার

বিশ্বনাথ সমাদ্দার

তদন্ত মানেই জেলে ভরে দেওয়া নয়, মোর্চা নেত্রীর জামিনের মামলার শুনানি চলাকালীন পুলিশকে এমনই বললেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার।

বৃহস্পতিবার তাঁর এবং বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খানের ডিভিশন বেঞ্চে কার্শিয়াংয়ের কাউন্সিলর তথা মোর্চা নেত্রীর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। চারটি মামলা ছিল এই নেত্রীর বিরুদ্ধে। চারটিতেই তিনি জামিন পান। জানুয়ারি মাসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অভিযুক্ত বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামীর আগাম জামিনের আবেদনেরও শুনানি ছিল এ দিন। তাঁর আবেদনও মঞ্জুর হয়। সব মামলাতেই পুলিশকে তদন্তের পদ্ধতি ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

তদন্তকারী অফিসাররা এ দিন হাজির ছিলেন। সরকারি আইনজীবী ও পুলিশের প্রতিনিধিদের প্রতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘তদন্ত করা মানে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া নয়। এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। তদন্ত করা মানে কোনও অভিযোগের নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে নানা সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড় করা। যাতে সুষ্ঠু ভাবে বিচারপ্রক্রিয়া হয়।’’ ভারতীয় দণ্ডবিধির অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে বলেন বিচারপতি। তাঁর ব্যাখ্যা, “যদি দেখা যায় বেশিরভাগ মামলাতেই পুলিশ যাকে ধরে রেখেছে সে বেকসুর খালাস পেয়ে যাচ্ছে, তা হলে তা কখনওই পুলিশের পক্ষে ভাল হবে না।”

বৃহস্পতিবার শুনানির শুরু থেকেই তদন্ত প্রক্রিয়ার আইনগত দিক নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের তোলা বেশিরভাগ প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেনি সরকার পক্ষ। মোর্চা নেত্রী শান্তি রাইকে ২০১৭ সালের একটি মামলায় পুলিশ গত বছর গ্রেফতার করে। মূল মামলায় জামিন পেলেও পরপর চারটি মামলায় তাঁকে নেত্রীকে জেলে থাকাকালীনই ফের গ্রেফতার করা হয়। সেই চারটি মামলারই শুনানি ছিল এ দিন। প্রথম মামলা শোনার সময়েই বিচারপতি জানতে চান, মামলার দেড় বছর পরে গ্রেফতার কেন? কার্শিয়াং থানার দুটো মামলায় পরপর দু’মাসে শান্তি রাইকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ডিভিশন বেঞ্চ সরকারি আইনজীবীদের কাছে জানতে চায়, যে জেলে রয়েছে তাঁকে একই থানায় থাকা বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে কেন? সরকারি আইনজীবী সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এর কোনও ব্যাখ্যা আমার কাছেও নেই। তদন্তকারী অফিসার যেমনটা মনে করেছেন, তেমনই হয়ে থাকবে।’’
মিরিকে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। কিন্তু সরকারি তরফে অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানানো হয়নি। পেট্রল বোমায় এক পুলিশ কর্মী জখম হন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আহতের শরীরে কোনও পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। বিচারপতির মন্তব্য, “পেট্রল বোমায় জখম হল, অথচ পোড়ার চিহ্ন নেই! এমনও হয়!’’

Politics TMC Jalpaiguri Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy