গত মাসেই ঘটা করে বসানো হয় তৃতীয় লাইন। যাতে ক্রসিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে ট্রেন চলাচলে গতি আনা যায়। ওই সময়েই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে প্রতিশ্রুতি ছিল দিন বদলাতে চলেছে। যাত্রীদের ট্রেন চলাচল নিয়ে অভিযোগ থাকবে না। কিন্তু অবস্থা এতটুকু বদল হয়নি। যাত্রীদের অভিজ্ঞতায়, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় রেল পরিষেবা পড়ে সেই তিমিরেই।
নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশের নালিশ, লোকাল ট্রেনগুলি সূচি মেনে চলছে না। যেমন—সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ ডাউন মেদিনীপুর লোকাল বাউড়িয়াতে আসার কথা। কিন্তু সেটি কখনও পৌনে ৯টার আগে আসে না। আর একটি ট্রেন দেরি করা মানেই পরের লোকালগুলিও দেরি করে।
দেরিতে আসা ট্রেনে বাদুড়ঝোলা হয়ে হাওড়া পৌঁছনোয় যেমন দুর্ভোগ, ফিরতি পথেও ওই একই হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের ক্ষোভ, রাত ৯টা ১০-এর আপ পাঁশকুড়া লোকাল হাওড়া থেকে ছাড়ে প্রায় ৪৫ মিনিট দেরিতে। একই ভাবে ৯টা ৩৫-এর খড়গপুর লোকাল হাওড়া স্টেশনে আসে ১০টা নাগাদ। ফলে, ছাড়তেও দেরি হয়ে যায়।
কেন এই অবস্থা? সদুত্তর দিতে পারেননি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা। তবে দাবি করেছেন, সমস্যাটা জানা তাঁদের। সমস্যা সমাধানে এক বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। নিত্যযাত্রীরা বলছেন, ‘‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy