সংশয় ছিল। তবু সাত বছর ধরে জ্বলছিল আশার আলো। এক লহমায় শালবনির গোটা স্বপ্নটাই ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।
শালবনিতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্পের কাজ আপাতত স্থগিত থাকছে বলে রবিবার কলকাতায় জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দল। এত বড় প্রকল্পের এমন পরিণতি সম্পর্কে কোনও আন্দাজ ছিল না শালবনির মানুষের। সংবাদমাধ্যমেই বিষয়টা জেনেছেন তাঁরা। অথচ ২০০৭ সালে রাজ্য ও জিন্দল গোষ্ঠীর চুক্তি সাক্ষরের সময় থেকেই এলাকাবাসী শুনে এসেছেন, এই প্রকল্প শুধু জেলা বা রাজ্যের নয়, এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত প্রকল্প হতে চলেছে। জমিদাতাদের চাকরি, কারখানার হাত ধরে গোটা এলাকার চেহারা পাল্টে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও ছিল। তাই কাজ সে ভাবে না এগোলেও আশাটা মরে যায়নি।
গত জুলাইয়ে প্রস্তাবিত কারখানার অদূরে গোদাপিয়াশালের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দল কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কারখানা চালু করতে দেরি হলে, জমিদাতাদের মাসে ৫ হাজার টাকা ভাতা দিতে হবে।’ এতে আশা আরও বেড়েছিল। রবিবারের ঘোষণা সে সবে জল ঢেলে দেওয়ায় শালবনি এখন ফুঁসছে। বরজুর বাসিন্দা বাবলু হেমব্রমের কথায়, “দু’বিঘে জমির এক বিঘে চলে গিয়েছে। চাকরির আশায় বসেছিলাম। এ বার কি ডাকাতি করব!” বাঁধঘুটুর লক্ষ্মণ সরেন বলেন, “১৪ কাঠা জমি দিয়েছিলাম। তখন কত ভাল ভাল কথা বলা হয়েছিল। এখন দেখছি সবই ভাঁওতা।”