ফাইল চিত্র।
সেপ্টেম্বরের কলকাতা সফরে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বার্তা ছিল, তৃণমূলের আক্রমণ নিয়ে বিলাপ করে লাভ নেই। প্রতিরোধ করতে হবে দলের নেতা-কর্মীদের। তার দেড় মাসের মধ্যে সেই প্রতিরোধের রাস্তা দেখালেন রাজ্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপি কর্মীদের উপরে এবং কার্যালয়ে তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ক্যানিংয়ের রেল মাঠে এক জনসভায় কৈলাস বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পার্টি। এই দলের ১২ কোটি সদস্য। এই ১২ কোটি সদস্য যদি মনে করে, ইটের জবাব পাথরে দেবে, তা হলে দিদি তোমার বাংলার হাল কী হবে? তুমি তা ঠেকাতে পারবে তো?’’
বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ হলে যে তাঁরা বসে থাকবেন না, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৈলাস। তাঁর কথায়, ‘‘আক্রমণ হলে গণতান্ত্রিক উপায়ে জবাব দেওয়া হবে। ইট মারলে পাথর ছোড়া হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতা আক্রান্ত কর্মীর পাশে দাঁড়াবেন।’’ তবে একই সঙ্গে কৈলাসের বক্তব্য, ‘‘আমরা প্রজাতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা হিংসা পছন্দ করি না।’’
বহু দিন ধরেই বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্যের পুলিশের একাংশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। এ দিন সে প্রসঙ্গে কৈলাসের হুঁশিয়ারি, ‘‘যে সব পুলিশ এখন রাজ্যের তৃণমূলের হয়ে তাঁবেদারি করছেন, আমরা ক্ষমতায় এলে তাঁদের জুতো চাটতে হবে। যেমন উত্তরপ্রদেশে হয়েছে। গুন্ডারা সেখানে রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছে।’’ বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহও বলেন, ‘‘লাঠি ধরুন। তৃণমূলের পিঠ লাল করে দিন।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিজেপি-র এই আস্ফালনকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শূন্য কলসি বাজে বেশি। গণতন্ত্র আছে বলেই তো ওঁরা মাঝে মাঝে এখানে এসে এ সব কথা বলতে পারছেন! ১২ কোটি কেন, ১২ হাজার কর্মীও বিজেপি-র আছে বলে মনে হয় না। আত্মতুষ্টির জন্য ওঁরা এ সব বলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy