Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Kazi Nazrul University

আন্দোলনের ৪৭ দিনে পুলিশি প্রহরায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন উপাচার্য, কমেনি বিক্ষোভ

আন্দোলনকারীদের বাধা পেয়ে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে গিয়েছেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।

An image of Kazi Nazrul University VC

শুক্রবার চরম অশান্তি এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে ব্যাপক পুলিশি প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেন উপাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫৬
Share: Save:

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর পুলিশ প্রহরায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করলেন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। যদিও আন্দোলনের ৪৭ দিনেও তাঁর ইস্তফার দাবিতে এখনও অনড় বিক্ষোভকারীরা।

শুক্রবার চরম অশান্তি এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে ব্যাপক পুলিশি প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেন উপাচার্য। সে সময়ও প্রতিবাদী গানে-স্লোগানে মুখর ছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তবে হাই কোর্টের নির্দেশের পর আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশি প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চেম্বারে প্রবেশ করেন উপাচার্য। মনে করা হচ্ছিল যে বাঁকুড়া সফর শেষ করে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় আসতে পারেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সে জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন উপাচার্য। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি রাজ্যপাল। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পর আবার পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য। সে সময়ও প্রবল চিৎকার-চেঁচামেচি এবং স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার উপাচার্য জানিয়ে দেন, আগামী বুধবার বৈঠক ডাকবেন তিনি। সেই সঙ্গে দাবি করেন, যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তা হয়তো আস্তে আস্তে মিটে যাবে।

উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাসের বেশি দিন ধরে আন্দোলনে করছেন অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের দাবি, উপাচার্য দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পঠনপাঠন বিঘ্নিত করে এই আন্দোলন করা যাবে না বলে বুধবার জানিয়েছিল হাই কোর্ট। পাশাপাশি, উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয়।

এর আগে আন্দোলনকারীদের বাধা পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে গিয়েছেন উপাচার্য। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে উপাচার্য আবার বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে পড়ুয়ারা ঘিরে ধরলেও ব্যারিকেড তৈরি করে উপাচার্যকে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। অন্য দিকে, আন্দোলনকারীরাও বিক্ষোভে অনড় থাকেন। উপাচার্য ভিতরে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘিরে রাখে পুলিশ। তিনি বাইরে বেরোতে পারবেন কি না, সে সন্দেহ ছিল। অন্য দিকে, আচার্য তথা রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন বলেও সম্ভাবনা ছিল। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে আন্দোলনকারীরা আবেদন করে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে তিনি যেন হস্তক্ষেপ করেন। রাজ্যপাল কোর কমিটির মিটিং ডাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যেহেতু তিনি বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন এবং অন্ডাল বিমানবন্দরে যাবেন। সে জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই আবহে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল চরমে। তবে আসানসোল আসেননি রাজ্যপাল। অন্য দিকে, এই আন্দোলনের আঁচ কমেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE