বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে শুকলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র আওতায় চলে এসেছে অনেকটা আকাশ। উচ্চ আকাশে বিমান চলাচল আরও মসৃণ হয়েছে বলে জানান রিজিওনাল এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর শুদ্ধসত্ত্ব ভাদুড়ি।
নতুন এই ব্যবস্থায় আকাশে সরলরেখায় সরাসরি রুটে উড়ে যেতে পারবে বিমান। ফলে, কম রাস্তা
পেরোতে হবে তাদের। হিসেব দিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, কলকাতার উপর আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া বিদেশি বিমান এ বার থেকে প্রতি মাসে ৩৮ হাজার নটিক্যাল মাইল রাস্তা বাঁচাতে পারবে। এর ফলে মাসে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ডলারের জ্বালানি বাঁচবে। নতুন এই ব্যবস্থায় খুব তাড়াতাড়ি কাঙ্খিত উচ্চতায় উঠেও যেতে পারবে বিমান। সেখানেও জ্বালানি বাঁচবে। কমবে দূষণ।
কিন্তু, এত মসৃণ এই ব্যবস্থার মধ্যেও পাইলটদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলায় এখনও সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কখনও আরও উঁচুতে ওঠার জন্য, কখনও নীচে নেমে আসার জন্য যে নির্দেশ এটিসি থেকে পাইলটের কাছে পৌঁছে দিতে হয়, তা যোগাযোগের অভাবে ঠিক সময়ে পৌঁছনো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, অনেক সময় পাইলটের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। কখনও যোগাযোগই করা যাচ্ছে না। সে সব ক্ষেত্রে আশপাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া অন্য বিমান মারফত নির্দিষ্ট ওই বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। কখনও অন্য রাজ্যের এটিসি-কে বলতে হচ্ছে ওই পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দিতে।
যোগাযোগের এই সমস্যার জন্য বিসএনএল-কে দায়ী করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, যোগাযোগের একটি ভাগ এখনও রয়ে গিয়েছে বিএসএনএল-এর কেব্ল মারফত। ছড়িয়ে থাকা ভিএইচএফ (ভেরি হাইফ্রিকোয়েন্সি) স্টেশন থেকে কেবল মারফত সেই শব্দ-তরঙ্গ প্রথমে বিএসএনএল-র স্থানীয় স্টেশনে পৌঁছয়। সেখান থেকে বেতার তরঙ্গে পৌঁছোয় বিমানবন্দরে। যে-টুকু অংশে কেব্ল মারফত সেই তরঙ্গ পৌঁছোয় সেখানেই সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুদ্ধসত্ত্ববাবু। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘বার বার বলেও লাভ হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই টেন্ডার ডাকছি। আশা করা হচ্ছে অন্য সংস্থা এগিয়ে আসবে।’’ বিএসএনএল-এর এক কর্তার কথায়, ‘‘একটি মাত্র কেব্ল মারফত সারা বছর নিরন্তর এই পরিষেবা দিতে গেলে সমস্যা তো হবেই। বিএসএনএলকে রেখেই আরও একটি লাইনের কথা কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy