ছানি কাটানোর পরে চোখে সংক্রমণের ঘটনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল আরও দুই। সব মিলিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা হল ১৮। সকলেই ‘রিজনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি’ (আরআইও)-তে চিকিৎসাধীন।
গত ২৮ ও ২৯ জুন গার্ডেনরিচ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ২০-২৫ জনের ছানি অস্ত্রোপচার হয়। বাড়ি ফেরার পর থেকে চোখে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁদের। ফলো-আপ করাতে হাসপাতালে এলে পরীক্ষা করে দেখা যায়, অনেকের চোখেই সংক্রমণ হয়েছে। ফলে দৃষ্টি স্পষ্ট হওয়ারবদলে আরও ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই গত বুধবার সংক্রমিত ১৬ জনকেআরআইও-তে ভর্তির নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, আরও যাঁদের ছানি অস্ত্রোপচার হয়েছে, তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর তাতেই আরও দু’জনের চোখে সংক্রমণের খোঁজ মিলল।
তাঁদেরও শনিবার আরআইও-তে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগের ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে আধুনিক পদ্ধতিতে বিশেষ অস্ত্রোপচার করা হয়। বাকিরা ওষুধেই সাড়া দিচ্ছিলেন।
আরআইও-র অধিকর্তা অসীম ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের এখানে আরও দু’জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।’’ ছানি অস্ত্রোপচারের পরে সংক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, ‘‘এই মর্মান্তিক পরিণতি শুধুমাত্র রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের গভীর ব্যর্থতাই তুলে ধরে না, বরং ‘ভাইপো’ কেন চোখের চিকিৎসার জন্য ঘন ঘন বিদেশে যান, সেটাও বোঝা যাচ্ছে। কারণ তিনি তাঁর পিসির অধীনে থাকা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)