Advertisement
E-Paper

তথ্য জেনে বৃদ্ধের টাকা ‘লোপাট’

চ্যাটার্জিহাটের শরৎ চ্যাটার্জি লেনে থাকেন ৬৭ বছরের বৃদ্ধ তুলসীরঞ্জন ঘোষ। তিনি মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তিনি। বর্তমানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৫৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জালিয়াতি করে এক বৃদ্ধের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, এক দিনে আট বারে ওই টাকা তুলে নেওয়া হলেও ব্যাঙ্ক কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে সাহায্য চাইতে গেলে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। হাওড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চ্যাটার্জিহাট শাখায় এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, চ্যাটার্জিহাটের শরৎ চ্যাটার্জি লেনে থাকেন ৬৭ বছরের বৃদ্ধ তুলসীরঞ্জন ঘোষ। তিনি মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তিনি। বর্তমানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ জানায়, তুলসীবাবুর ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চ্যাটার্জিহাট শাখায় অ্যাকাউন্ট আছে। তাঁর অভিযোগ, মাস দেড়েক আগে কলকাতার ধর্মতলায় এটিএম কার্ড-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি যায়। ওই ঘটনার পরে তিনি ব্যাঙ্কে আবেদন করলে গত ২২ তারিখ ক্যুরিয়রের মাধ্যমে তাঁর কাছে এটিএম কার্ড আসে। এর পরেই তিনি ওই কার্ডের গোপন পিন নম্বর আনতে ব্যাঙ্কে যান এবং পিন নম্বর নিতে এটিএমের নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে সাহায্যও করেন।

তুলসীবাবুর অভিযোগ, এর পরে দুপুরেই এক তরুণী ফোন করে জানান, সিনিয়র সিটিজেনদের এটিএম কার্ডের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এ জন্য ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওই তরুণী এক ব্যক্তিকে ফোন দিলে তিনি নিজেকে এটিএমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাকেশকুমার শর্মা বলে পরিচয় দেন। এর পরে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলার ফাঁকে তিনি তুলসীবাবুর অ্যাকাউন্ট ও কার্ডের সব গোপন তথ্য জেনে নেন। সব তথ্য বলে দেওয়ার পরে তাঁর খেয়াল হয়, একটা গোলমাল হচ্ছে। তিনি ওই ব্যাঙ্কের চ্যাটার্জিহাট শাখায় ছোটেন। তুলসীবাবু বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে গিয়েই জানতে পারি আমাকে না জানিয়েই আমার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তাই ফের আবেদন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ফের আবেদন করে অ্যাকাউন্ট খুলে পরীক্ষা করে জানতে পারি, আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।’’

তুলসীবাবু জানান, এই তথ্য পেয়ে ব্যাঙ্কে জানাতে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসহযোগিতা। একটার পর একটা টেবিলে ছোটাছুটি করেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় শেষে ওই ব্যাঙ্কের মেন ব্রাঞ্চে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। অভিযোগ জানান হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাতেও। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। ব্যাঙ্কের কোনও কর্মী যুক্ত কি না, প্রমাণ মেলেনি। প্রমাণ মিললে আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এ দিকে, ব্যাঙ্ক এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

Cyber Crime Fraud Case Account Hack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy